• উপনির্বাচনে কোন পথে, জেলার মত চাইল কংগ্রেস
    আনন্দবাজার | ০১ অক্টোবর ২০২৪
  • প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি বদলের পরেই গুঞ্জন তৈরি হয়েছিল বাংলায় দলের ভবিষ্যৎ পথ নিয়ে। নতুন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির উপস্থিতিতে দলের জেলা সভাপতিদের বৈঠকেও সেই প্রশ্ন উঠে এল। একাধিক জেলা সভাপতি মত দিলেন, কারও সঙ্গে জোট না-করে কংগ্রেস এ বার একা চলে নিজেদের শক্তি যাচাই করে দেখুক। তবে পুজোর পরে রাজ্যে ৬টি বিধানসভা ও একটি লোকসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে কী হবে, সেই প্রসঙ্গে আলাদা করে সংশ্লিষ্ট জেলা নেতৃত্বের মত জানতে চেয়েছেন প্রদেশ সভাপতি।

    বিধান ভবনে সোমবার জেলা সভাপতিদের সঙ্গে বৈঠকে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি শুভঙ্কর সরকারের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন বাংলার দায়িত্বপ্রাপ্ত এআইসিসি-র সম্পাদক আসফ আলি খান। সূত্রের খবর, বেশ কিছু জেলা সভাপতি বৈঠকে একলা চলার পক্ষে সওয়াল করেছেন। আবার জেলা সভাপতিদের অন্য একাংশের যুক্তি, একা চলা তখনই সম্ভব, যখন বুথে লোক বসার মতো সাংগঠনিক শক্তি কংগ্রেসের থাকবে। সাম্প্রতিক কালের অভিজ্ঞতায় দেখা গিয়েছে, কলকাতা শহরেও সব বুথে কংগ্রেসের নিজের লোক নেই। প্রদেশ সভাপতি শুভঙ্কর অবশ্য তৃণমূল স্তর পর্যন্ত সংগঠনকে মজবুত করা এবং বুথ কমিটি গড়ায় জোর দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।

    রাজ্যে ২০২১ সালের বিধানসভা এবং এ বারের লোকসভা ভোটে বামেদের সঙ্গে আসন সমঝোতা করে লড়েছিল কংগ্রেস। মোট ৬টি বিধানসভা ও একটি লোকসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন আসন্ন। সেই উপনির্বাচনে কংগ্রেস কী করবে, সেই প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। প্রদেশ সভাপতি শুভঙ্কর এ দিন বলেছেন, ‘‘সংশ্লিষ্ট জেলার সভাপতিদের কাছে চিঠি দিয়ে মতামত জানতে চাওয়া হয়েছে। ব্লক স্তর পর্যন্ত নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে মনোভাব বুঝতে বলা হয়েছে তাঁদের। তার পরে তাঁরা প্রদেশ কংগ্রেসকে জানাবেন।’’ পাশাপাশি, আর জি কর-কাণ্ড এবং স্বাস্থ্য দুর্নীতি, ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়ার মতো রোগ মোকাবিলায় প্রশাসনের গাফিলতির বিরুদ্ধে ব্লক স্তর পর্যন্ত প্রতিবাদ কর্মসূচি নিয়ে যেতে বলা হয়েছে বৈঠকে। জেলা সভাপতিদের নিয়ে এ দিনের বৈঠক শুরু হয়েছিল আর জি করের নির্যাতিতা এবং রাজ্যে বন্যায় প্রাণ হারানো মানুষের স্মৃতিতে নীরবতা পালন করে।
  • Link to this news (আনন্দবাজার)