• প্রয়াত নিউরোসার্জেন সন্দীপ চট্টোপাধ্যায়
    এই সময় | ০১ অক্টোবর ২০২৪
  • এই সময়: তিন দশক আগে তখন কলকাতায় সে ভাবে প্রচলিত ছিল না শল্য চিকিৎসার সুপার-স্পেশালিটি শাখা নিউরোসার্জারি। সে সময়েই বিলেত থেকে তালিম নিয়ে এসে কলকাতায় বেসরকারি ক্ষেত্রে নিউরোসার্জারি পরিষেবা শুরু করেন তিনি। অসংখ্য জটিল স্নায়ু-শল্য চিকিৎসা করে অগুনতি রোগীকে নতুন জীবন দেওয়া সেই এফআরসিএস চিকিৎসক সন্দীপ চট্টোপাধ্যায়ের জীবনাবসান হলো।সোমবার নিজের বাড়িতেই শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। বয়স হয়েছিল মাত্র ৬৩। সন্দীপ রেখে গেলেন স্ত্রী, চিকিৎসক পুত্র, প্রবাদপ্রতিম পেডিয়াট্রিক সার্জেন নবতিপর বাবা এবং বিশিষ্ট এন্ডোক্রিনোলজি বিশেষজ্ঞ দাদা ও তাঁর পরিবারকে।

    কয়েক মাস ধরে রক্তের ক্যান্সারে ভুগছিলেন সন্দীপ। সম্প্রতি জটলি বিপাকজনিত সমস্যাতেও ভুগতে শুরু করেছিলেন। সেখান থেকেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে এ দিন সকালে মৃত্যু হয় তাঁর। গত ফেব্রুয়ারিতে সন্দীপের মাল্টিপল মায়েলেমা ধরা পড়েছিল। তার পর কেমোথেরাপিও চলেছে। সম্প্রতি তাঁরা অ্যামাইলয়েডোসিস নামের একটি দুরারোগ্য বিপাকজনিত রোগ হয়। গত কয়েক মাসে দফায় দফায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছিল। এ দিন অবশ্য শেষ সময়ে বাড়িতেই ছিলেন পরিবারের মধ্যে।

    সোমবার সকালে সন্দীপের মৃত্যুর খবরে চিকিৎসকমহলের অনেকেই শোকবিহ্বল হয়ে পড়েন। প্রবীণ সমসাময়িক চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, কলকাতায় যখন নিউরোসার্জারি প্রায় হতোই না, সেই সময়েই বাবা সুবীর চট্টোপাধ্যায়ের তৈরি পার্ক নার্সিংহোমে নিউরো-সার্জারি শুরু করেছিলেন ১৯৮৪ সালের এমবিবিএস সন্দীপ।

    দাদা সুদীপ চট্টোপাধ্যায়ও স্বনামধন্য চিকিৎসক। তাঁদের বাবার হাত ধরেই কার্যত পশ্চিমবঙ্গের বেসরকারি ক্ষেত্রে পেডিয়াট্রিক সার্জারি পরিষেবা শুরু হয়েছিল ১৯৭০-এর দশকে। পরে পার্ক নার্সিংহোমের নাম বদলে হয় পার্ক ক্লিনিক। দক্ষিণ কলকাতার এই ঐতিহ্যশালী প্রতিষ্ঠানে আর কখনও চেম্বার, ওটি করবেন না সন্দীপ, আক্ষেপ সেখানকার কর্মীদের।
  • Link to this news (এই সময়)