উল্লেখ্য, সোস্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট ঘোরাঘুরি করছিল সেখানে বলা হচ্ছিল, তরুণী চিকিত্সকের ময়না তদন্তের সময় জুনিয়র ডাক্তরা উপস্থিত ছিলেন, তাদের সাক্ষরও রয়েছে। কিন্তু তার পরেও ময়নাতদন্ত ঠিকমতো হয়নি এমন কথা কেন উঠছে? এই বিভ্রান্তির ব্যাখ্যা দিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। পাল্টা প্রশ্ন তুলে দিলেন, সঠিকভাবে ময়না তদন্ত না হলে তার দায় কি জুনিয়র ডাক্তারদের? তাদের বক্তব্য, পুলিসের কাছে ভিডিয়ো রেকর্ডিং আছে। তা দেখতে পারে সিবিআই। দাবি করা হয়েছিল পোস্টমর্টেম উপযুক্ত নিয়ম মেনে করতে হবে। কিন্তু সেখানেই যদি গাফিলতি হয় তাহলে তার দায় জুনিয়র ডাক্তারদের কেন হবে?
এদিকে, সিবিআইয়ের ভূমিকারও সমালোচনা করেছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। এনিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করা হয় সাংবাদিক বৈঠকে। জুনিয়র ডাক্তারদের পক্ষ থেকে বলা হয়, অনেক আশা নিয়েই সুপ্রিম কোর্টের দিকে তাকিয়ে ছিলাম। কিন্তু বুঝতে পারলাম সিবিআইয়ের তদন্তের গতি কতটা স্লথ। আগেও দেখেছি তদন্তভার নিয়েও সিবিআই কোনও কিনারা করতে পারেনি। ঠিক সময়ে চার্জশিট পেশ না করায় সেইসব ক্ষেত্রে অভিযুক্তরা খালাস পেয়ে গিয়েছে। সুপ্রিম কোর্টে এই মামলার ভার নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছিলেন। তারপর শুনানি পিছিয়ে গেল। বিচারপ্রক্রিয়া স্লথ হয়ে গেল। এতে আমরা হতাশ।
উল্লেখ্য, পুজোর আগে জুনিয়র চিকিৎসকরা ফের পূর্ণ কর্মবিরতির সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। সোমবার টানা ৮ ঘণ্টা জেনেরাল বডির মিটিং করার পর এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা জানান তাঁরা। এর আগে স্বাস্থ্যভবনের সামনে থেকে অবস্থান প্রত্যাহার করেছিলেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। তারপর জরুরি কাজে ফিরে গেলেও, সোমবার সুপ্রিম কোর্টের শুনানির পর আবার কর্মবিরতির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।