নব্যেন্দু হাজরা: ১৩ শতাংশ নয়, ২০ শতাংশও নয়। মালিক-শ্রমিকদের ‘দরাদরি’র মাঝামাঝি অঙ্ক রেখে চা বাগানের বোনাস জট কাটাল শ্রমদপ্তর। মঙ্গলবার লেবার কমিশনের তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানানো হয়েছে, ১৬ শতাংশ হারে এবার পুজোর বোনাস পাবেন শ্রমিকরা। আগামী ৪ অক্টোবরের মধ্যে সেই অর্থ তাঁদের হাতে তুলে দিতে হবে বলে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সরকারের এই ঘোষণায় হাসি ফুটেছে চা শ্রমিকদের মুখে।
শ্রমিকদের ২০ শতাংশ বনাম মালিকদের ১৩ শতাংশ। পুজোর বোনাস নিয়ে দার্জিলিংয়ের চা বাগানগুলিতে কার্যত ‘দরাদরি’ চলছে। কয়েকবার আলোচনা করেও সমাধান মেলেনি। ১৩ শতাংশ হারেই পুজোর বোনাস দেওয়ার ক্ষেত্রে অনড় মালিকপক্ষ। আর শ্রমিকদের দাবি, ২০ শতাংশ হারে বোনাস দিতে হবে। দাবি আদায়ে সোমবার কাজকর্ম বন্ধ রেখে ১২ ঘণ্টা ধর্মঘট পালন করছে চা শ্রমিক সংগঠনগুলি। বন্ধ ছিল যান চলাচল। তার জেরে সমস্যায় পড়েন পাহাড়ে বেড়াতে যাওয়া পর্যটকরা। পুজোর মুখে যা পর্যটন ব্যবসাকে যথেষ্ট ক্ষতির মুখে ফেলেছে।
এর পরই পদক্ষেপ করে নবান্ন। সব পক্ষের সঙ্গে কথা বলে শ্রম দপ্তরকে নির্দেশ দেওয়া হয়, দ্রুত বোনাস জট কাটাতে। আর মঙ্গলবারই সমাধান সূত্র বেরল। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, তরাই-ডুয়ার্সের মতো পাহাড়ে অর্থাৎ দার্জিলিং, কার্শিয়াং, কালিম্পংয়ের চা বাগানের শ্রমিকদেরও ১৬ শতাংশ হারে বোনাস দেওয়া হবে এবং তা ৪ অক্টোবরের মধ্যে শ্রমিকদের হাতে তুলে দিতে হবে। ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষ অনুযায়ী যার যা প্রাপ্য, সেই হারে সকলকে বোনাস দিতে হবে। এছাড়া শ্রমিকদের আরও যা যা দাবি ছিল, সেসবও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ রয়েছে। যেমন চা বলয়ে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখা, রুগ্ন চা বাগানগুলিতে গুরুত্ব দেওয়া-সহ একাধিক বিষয় নজর রাখার কথা বলা হয়েছে। কোনওরকম সমস্যা হলে পুজো পরবর্তী বৈঠকে ফের এনিয়ে আলোচনা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছে শ্রমদপ্তর।