দক্ষিণ কলকাতার রাসবিহারী মোড়ে এই পুজো কমিটি প্রথা ভেঙে মহিলা পুরোহিত দিয়ে মায়ের পুজো করিয়েছিল। এবার ভোজনরসিক বাঙালির কাছে মশলার সাতকাহন তুলে ধরছেন এই পুজো উদ্যোক্তারা। শিল্পী দীপাঞ্জন দে-র ভাবনায় ‘স্বাদ-কহন’ এই পুজোর থিম। প্রতিমাশিল্পী রয়েছেন ধীমান সুতার। বাঙালির হেঁশেলের পাঁচফোড়ন, গরম মশলা দিয়ে মণ্ডপসজ্জা হচ্ছে। বস্তা বস্তা হলুদ, শুকনো লঙ্কা রয়েছে। মণ্ডপে ঢোকার মুখেই রয়েছে বিশালাকার হামানদিস্তা। বড় জার থেকে মশলা পড়ছে সেই হামানদিস্তায়।
আগের দিনে বাড়িতে মা-ঠাকুরমারা শিল-নোড়াতে মশলা বাটতেন। সেখানে এখন জায়গা করে নিয়েছে গ্রাইন্ডার মেশিন। মণ্ডপে মা-ঠাকুরমার শিল-নোড়ার পাশে গ্রাইন্ডার মেশিনও রয়েছে। প্রতিমার পিছনে যে চালা রয়েছে সেটিও তেজপাতায় তৈরি। জিরে, ধনে, পোস্ত, কালোজিরে, সরষে দিয়ে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে রান্নাঘরের ছবি। পুজো উদ্যোক্তা প্রদ্যুম্ন মুখোপাধ্যায় বলেন, বাঙালি ভোজনরসিক। খাবারের স্বাদ নিয়ে তারা কোনও সমঝোতা করে না। তাই বাঙালির হেঁশেলে চিরকাল নানা মশলার জোগান থাকে।
পাঁচফোড়ন, গরম মশলা এইসব মশলা রান্নার স্বাদকে আলাদা মাত্রা এনে দিয়েছে। এবার হেঁশেলের মশলা দিয়ে মণ্ডপ হচ্ছে। প্রতিমার বেশভূষাও মশলা দিয়ে তৈরি হচ্ছে। হেঁশেলে রান্নার সময় যে মশলার একটা সুন্দর গন্ধ মেলে এই মণ্ডপে ঠিক সেরকম হেঁশেলের গন্ধ পাবেন দর্শকরা। দ্বিতীয়া থেকে দর্শকদের জন্য এই মণ্ডপ খুলে দেওয়া হবে।