স্টাফ রিপোর্টার: এ এক বাবা-মা হারা ছেলের জীবন সংগ্রামের কাহিনি। কুমোরপাড়ায় প্রতিমা তৈরি দেখে, শিখে শিল্পী হয়ে ওঠার গল্প। গল্পের নাম ‘ফোটকের স্বপ্ন’। এবার এই কাহিনিই উঠে আসছে অরবিন্দ সেতু সর্বজনীন দুর্গাপুজো কমিটির থিমে। বিধাননগর স্টেশন থেকে মুচিবাজার বাসস্ট্যান্ডের কাছের এই পুজো গত কয়েকবছর ধরেই বেশ নজর কাড়ছে। পুজোর ক’দিন রীতিমতো ভিড় উপচে পড়ে এখানকার মণ্ডপে। সেখানেই এবার এক সাধারণ ছেলের অসাধারণ হয়ে ওঠার কাহিনি তুলে ধরা হচ্ছে। ৪৮তম বছরে পা দিল এবার এখানকার পুজো। পুজো উদ্যোক্তাদের আশা, এবার এই থিম সকলের নজর কাড়বে।
ফোটক একজন বাবা-মা হারা ছেলে। কেউ নেই তার। আধপেটা খেয়ে দিন কাটে। তারই জীবন সংগ্রামের প্রতিচ্ছবি ফুটে উঠবে এখানকার পুজোমণ্ডপে। দেখানো হবে একটি কুমোরপাড়ার দিনযাপন। আর সেই পাড়ায় থেকেই ফোটক স্বপ্ন দেখে শিল্পী হওয়ার। সে দেখে কীভাবে প্রতিমা তৈরি হয়। কী ভাবে চক্ষুদান হয়। আর তা দেখেই নিজে স্বপ্ন দেখে শিল্পী হওয়ার। স্বপ্নপূরণের তেমনই এক কাহিনি ছবির মাধ্যমে দর্শকদের সামনে তুলে ধরবে এই পুজো কমিটি। তবে ফোটকের চরিত্রটির লাইভ পারফরম্যান্স থাকবে বলেই জানাচ্ছেন উদ্যোক্তারা।
পালেদের এই কুমোরপাড়ায় দোকানপাট, ঠাকুর বানানো কুমোরদের দিনলিপি ফুটে উঠবে এখানে। সেখানকার মানুষদের জীবনসংগ্রামের কাহিনির কথাও তুলে ধরা হবে। তবে সবেরই কেন্দ্রবিন্দুতে থাকবে ফোটক। একটি সাধারণ ছেলে। আধপেটা খেয়ে সে বড় হয়ে ওঠে। তারপর সে শিল্পী হয়। মাতৃমূর্তিকে রূপদান করে। এখানকার এই থিমের এবারের কারিগর প্রবীর সাহা। প্রতিমাশিল্পী এ কে পাল। পুজো উদ্যোক্তা কৃষ্ণেন্দু রায়ের কথায়, ‘‘এবারও তাঁদের পুজোর থিম সকলের নজর কাড়বে। এক সাধারণ ছেলের শিল্পী হয়ে ওঠার কাহিনি মানুষের মন কাড়বেই। প্রত্যেকটা মানুষের জীবনেই যে একটা সংগ্রাম থাকে তাই ফুটে উঠবে ফোটকের স্বপ্নের মধ্য দিয়ে।’’