প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এ বার পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেপ্তার করল CBI । মঙ্গলবার ব্যাঙ্কশাল কোর্টের বিশেষ সিবিআই আদালতে ভার্চুয়ালি পেশ করা হয় রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীকে। সেখানেই তাঁকে গ্রেপ্তারের আবেদন জানিয়েছিল সিবিআই। সেই আবেদন মঞ্জুর করে আদালত। এ দিন তাঁকে এই মামলায় শ্যোন্ অ্যারেস্ট দেখানো হল। তবে তাঁকে হেফাজতে চায়নি সিবিআই। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের পাশাপাশি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অপর অভিযুক্ত অয়ন শীলকেও একইভাবে গেপ্তার করল সিবিআই।এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইডির গ্রেপ্তারের প্রেক্ষিতে সম্প্রতি জামিন চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এদিন এ নিয়ে আইনজীবীরা বলছেন, ‘যদি সুপ্রিম কোর্ট ওই মামলায় তাঁকে জামিনও দেয় তাও জেলমুক্তি সম্ভব নয় পার্থর। কারণ সিবিআই তাঁকে শ্যোন্ অ্যারেস্ট দেখাল । সাম্প্রতিক সময়ে একাধিক প্রভাবশালীর জামিনের পর সিবিআইয়ের এই আবেদন যথেষ্টই তাৎপর্যপূর্ণ।’ সম্প্রতি নিয়োগ দুর্নীতি মামলা থেকে শুরু করে গোরু পাচার মামলা, একের পর এক হেভিওয়েট জামিন পেয়েছেন। তালিকায় রয়েছেন মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়, অনুব্রত মণ্ডল, এনামূল হক।
এ দিন আদালতে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আইনজীবী বলেন, ‘আমার মক্কেল অসুস্থ।’ যদিও সিবিআই-এর আইনজীবী জানান, ওই মেডিক্যাল রিপোর্ট ২০২৩ সালের। পার্থ চট্টোপাধ্যায় ভার্চুয়াল শুনানিতে দাবি করেন, তিনি অসুস্থ। তাঁর বিরুদ্ধে তদন্তে কিছু মেলেনি। কিন্তু তা সত্ত্বেও তাঁকে ২ বছর জেলে রাখা হয়েছে। বিচারক জানান, এই গ্রেপ্তারের আবেদনে এই মন্তব্যগুলি গ্রাহ্য নয়। তবে তা জামিনের আবেদনের ক্ষেত্রে উল্লেখ করতে পারেন তিনি।
প্রসঙ্গত, ২০২২ সালে ২২ জুলাই দক্ষিণ কলকাতার নাকতলার বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয় পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইডির হাতে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন তিনি। সেই সময় পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের 'ঘনিষ্ঠ' হিসেবে নাম উঠে আসে অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের। তাঁর টালিগঞ্জ এবং বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাটে চল্লাশি চালিয়ে কোটি কোটি টাকার বেশি নগদ উদ্ধার করেছিল পুলিশ।
ইডির মামলায় জামিন পাননি পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তিনি রয়েছেন প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে। সম্প্রতি কলকাতা হাইকোর্টেও জামিনের জন্য জোর সওয়াল করেছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আইনজীবী। পার্থ আর প্রভাবশালী নন বলে দাবি করেছিলেন তিনি।