সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ, ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের পর এ বার মালদার রতুয়া গ্রামীণ হাসপাতালে হুমকির মুখে চিকিৎসক এবং নার্সরা। মদ্যপ অবস্থায় হাসপাতালে হামলা, ভাঙচুরের চেষ্টা রোগীর আত্মীয়দের। অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ এবং ২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এই ঘটনায় আতঙ্কে রতুয়া গ্রামীণ হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্সরা।জানা গিয়েছে, সোমবার রাত ১১টা নাগাদ রতুয়ার বালুপুর এলাকার বাসিন্দা অমরজিৎ গোস্বামীর হাতে আঘাত লাগে। এরপর তাঁকে তড়িঘড়ি রতুয়া গ্রামীণ হাসপাতালে আনা হয়। রোগীর পরিবারের অভিযোগ, অমরজিতের আঙুল সেলাই করার জন্য বাইরে থেকে সুতো কিনে আনতে বলেছিলেন নার্সরা। কেন সরকারি হাসপাতালে সুতো থাকবে না? সেই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা।
যদিও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, রোগীর পরিবার চিকিৎসককে নাইলনের সুতো গিয়ে সেলাই করতে নিষেধ করে। কালো সুতো দিয়ে সেলাই করার জন্য চাপসৃষ্টি করা হয় রোগীর পরিবারের তরফে, অভিযোগ হাসপাতালের। মালদা জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুদীপ্ত ভাদুড়ি জানান, যে কালো সুতো রোগীর পরিবার চাইছিল তা সাধারণত ওটিতে ব্যবহার হয়। গ্রামীণ হাসপাতালগুলিতে সেই সুতো থাকে না। পরিবর্তে নাইলনের সুতো সেখানে ব্যবহার করা হয়। যেহেতু কালো সুতো ব্যবহারের দাবিতে রোগীর পরিবার অনড় ছিল, তাই তাদের সেই বিশেষ সুতো বাইরে থেকে কিনে আনতে বলেছিলেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।
অভিযোগ, চিকিৎসক পরিবারের কিনে দেওয়া সেই বিশেষ সুতো দিয়ে রোগীর আঙুল সেলাই করার পর আত্মীয়রা মদ্যপ অবস্থায় চিকিৎসককে হুমকি দেন। থানায় অভিযোগ জানায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনায় রাজেন মণ্ডল এবং মাণিক মণ্ডল নামে দুই যুবককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এই দুই অভিযুক্তের বাড়ি রতুয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের বিন পাড়া এলাকায়। পুরো ঘটনা তদন্ত শুরু করেছে রতুয়া থানার পুলিশ।