• বীরভূমের খাদানে ধস, কাজ করার সময় পাথর চাপা পড়ে মৃত্যু ৩ শ্রমিকের, আহত ১
    হিন্দুস্তান টাইমস | ০১ অক্টোবর ২০২৪
  • মর্মান্তিক ঘটনা। পাথর খাদানে ধস নেমে মৃত্যু হল ৩ খাদান শ্রমিকের। ঘটনায় আরও এক শ্রমিক গুরুতর জখম হয়েছেন। মূলত পাথর চাপা পড়েই এদিন খাদানে হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। মৃতদেহগুলি উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজে। অন্যদিকে, আহত শ্রমিককের চিকিৎসা চলছে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। ঘটনাটি ঘটেছে ঝাড়খণ্ড লাগোয়া বীরভূমের নলহাটি থানার মহিষাগড়িয়া গ্রাম সংলগ্ন পাথর খাদানে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে শোকের ছায়া নেমেছে মৃত শ্রমিকদের পরিবারে।

    জানা গিয়েছে, আজ বেলা ১০ টা নাগাদ ঝাড়খণ্ড সীমানা লাগোয়া বীরভূমের নলহাটি থানার মহিষাগড়িয়া গ্রাম সংলগ্ন খাদানে পাথর ভাঙার কাজ করছিলেন শ্রমিকরা। তখনই পাথর খাদানে ধস নামে। তাতে পাথরের নিচে চাপা পড়ে যান শ্রমিকরা। সবমিলিয়ে চারজন চাপা পড়েন। এরফলে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ৩ শ্রমিকের। মৃতদের মধ্যে দুজনের নাম পরিচয় জানা গিয়েছে। তাদের নাম হল মুকেশ মাল, কমল মির্ধা। একজনের নাম এখনও জানা যায়নি। ঘটনায় গুরুতর আহত অন্য এক শ্রমিককে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয় বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। মৃত ৩ শ্রমিকের দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রামপুরহাট গভর্নমেন্ট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে নলহাটি থানার পুলিশ।স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, পাথর খাদানে ড্রিলিং করার সময় আচমকা সেখানকার মাটিতে ধস নামে। ওই পাথর খাদান মালিকের নাম পিংকু হাঁসদা। তার বাড়ি ডহরনাঙি এলাকায়।

    যদিও বীরভূমে পাথর খাদানে ধস এই প্রথম নয়। প্রায় সেখানকার পাথর খাদানগুলিতে ধস নামে। গত ফেব্রুয়ারিতেই নলহাটিতে একটি পাথর খাদানে ধস নেমে এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছিল। এর আগেও বহু সময়ে পাথর খাদানে ধস নামে শ্রমিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। শ্রমিকদের পরিবারের দাবি,  বৃষ্টির ফলে পাথর খাদানগুলিতে ঘনঘন ধস নামছিল। এই অবস্থায় পাথর খাদানে শ্রমিকদের নিরাপত্তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। ধস নামা সত্ত্বেও কেন শ্রমিকদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়নি তা নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়েছেন খাদান মালিক।

    স্থানীয়দের একাংশের অভিযোগ, অবৈধভাবেই সেখানে এই ধরনের বহু পাথর খাদান চলছে। এইসব পাথর খাদান থেকে পাথর তোলা নিয়ে নিষেধ করা হলেও তা মানা হয় না বলেও অভিযোগ। স্থানীয়দের অভিযোগ, পাথর খাদানগুলি চালানোর পিছনে প্রভাবশালীদের হাত রয়েছে। সেই কারণে সরকার জেনে বুঝেও চুপচাপ থাকে, কোনও ব্যবস্থা নেয় না।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)