জুনিয়র ডাক্তারদের দাবি মেনে নিয়ে কিছুদিন আগে পুলিশ কমিশনার, ডিসি নর্থ–সহ কয়েকজন পুলিশ অফিসারকে বদলি করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার দুর্গাপুজোর প্রাক্কালে রাজ্য ও কলকাতা পুলিশে আবার রদবদল করলেন। আরজি কর হাসপাতালের ঘটনার পরেই পুলিশের এগুচ্ছ শীর্ষপদে রদবদল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে মহালয়ার ঠিক একদিন আগেই এই রদবদল বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ এখন আবার জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতি শুরু হয়েছে। আইপিএস বদলির ঘটনায় নবান্নে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।
এদিকে কলকাতা পুলিশের অ্যাডিশনাল পুলিশ কমিশনার হলেন আইপিএস দেবেন্দ্র কুমার সিং। যিনি আইজিপি ট্র্যাফিক পদে কর্মরত ছিলেন। আর আইজিপি ট্র্যাফিক হলেন আইপিএস গৌরব শর্মা। তিনি আবার স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের আইজিপি পদে ছিলেন। তবে পুলিশ রিক্রুটমেন্ট বোর্ডের ডিআইজি পদমর্যাদার অফিসার তথাগত বসুকে পাঠানো হয়েছে পুলিশ ডায়রেক্টরেটে। এই রদবদলগুলি নিয়ে এখন নবান্নে চর্চা চলছে। কারণ সামনে দুর্গাপুজো। মানুষের ঢল নামবে রাজপথে। এবার আরও কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা করতে হবে। তাই এই রদবদল বলে মনে করা হচ্ছে।
অন্যদিকে হাওড়া স্পেশাল রিজার্ভ পুলিশ থেকে স্পেশাল আর্মড পুলিশের সার্কেল অফিসার করা হলো আইপিএস পঙ্কজ কুমার দ্বিবেদীকে। আর আর্মড পুলিশের ডিসি আইপিএস মিস পুষ্পাকে পাঠানো হচ্ছে হাওড়ার স্পেশাল রিসার্ভ পুলিশে। কলকাতা পুলিশের কমব্যাট ব্র্যাঞ্চের ডিসি আইপিএস কুনওয়ার ভূষণ সিংকে যাচ্ছেন শিলিগুড়ি রিজার্ভ পুলিশে। এখন নতুন কলকাতার কমিশনার মনোজ ভার্মা। কলকাতা পুলিশের ডিসি অভিষেক গুপ্তকে বদলি করে ইএফআরের সেকেন্ড ব্যাটালিয়নের কমান্ডিং অফিসার পদে পাঠানো হয়।
ইতিমধ্যেই নবান্নের পক্ষ থেকে সাত সদস্যের একটি তদন্তকারী টিম গঠন করা হয়েছে। সুরজিৎ কর পুরকায়স্থকে মাথায় রেখে এই টিম তৈরি করা হয়েছে। যাঁরা প্রত্যেক সরকারি হাসপাতালে গিয়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখবে। রাজ্য পুলিশের এডিজি পদে ছিলেন ত্রিপুরারি অথর্ব। তাঁকে ডিরেক্টরেট অফ ইকোনমিক অফেন্সেসের ডিরেক্টর করা হয়েছে।