• জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতির মধ্যেই নবান্নর পদক্ষেপ, সাত সদস্যের তদন্তকারী দলগঠন
    হিন্দুস্তান টাইমস | ০১ অক্টোবর ২০২৪
  • আবার জুনিয়র ডাক্তাররা কর্মবিরতির ডাক দিয়েছেন। আজ, মঙ্গলবার থেকে তা শুরু হয়ে গিয়েছে। নানা দাবি তোলা হয়েছে। তবে মহালয়ার প্রাক্কালে এমন কর্মবিরতির ডাক মানুষকে সমস্যায় ফেলতে পারে। কারণ বহু রোগী চিকিৎসা পাবে না সরকারি হাসপাতালে এসে। এই আবহে রাজ্যের হাসপাতালগুলির নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখতে সাত সদস্যের টিম গঠন করল নবান্ন। যা আজকের প্রেক্ষাপটে অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক। অবসরপ্রাপ্ত রাজ্য পুলিশের ডিজি সুরজিৎ করপুরকায়স্থকে মাথায় রেখে এই তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই নিয়ে একটি বিজ্ঞপ্তিও জারি হয়েছে।

    আরজি কর হাসপাতালে তরণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। এই ঘটনায় সুবিচারের দাবিতে মঙ্গলবার থেকে আবার কর্মবিরতি শুরু করেছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। তাঁদের আগের ৯৯ শতাংশ দাবি মেনে নেওয়া হয়েছিল। সেই জট কেটেছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক করার পর। তারপর আবার মহালয়ার প্রাক্কালে নানা দাবি তুলে কর্মবিরতির ডাক দেওয়া হয়েছে। জুনিয়র ডাক্তারদের দাবি, সুরক্ষা নিশ্চিত করা না পর্যন্ত এই কর্মবিরতি চলবে। ইতিমধ্যেই আরজি কর হাসপাতাল–সহ সমস্ত সরকারি হাসপাতালে সিসিটিভি বসানোর কাজ চলছে। বিশ্রাম কক্ষ–সহ আরও কটি বিষয় করার জন্য সময় লাগবে। আর সে কথা মুখ্যসচিব জুনিয়র ডাক্তারদের জানিয়ে দিয়েছেন। তবে ধৈর্য্য হারাতে নিষেধ করেছেন।

    কিন্তু জুনিয়র ডাক্তাররা কর্মবিরতি নিয়ে অনড়। তাঁদের সাংবাদিক সম্মেলন শেষ হওয়ার পরই নবান্নের পক্ষ থেকে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। তাতে জানিয়ে দেওয়া হল, সুরজিৎ করপুরকায়স্থর নেতৃত্বে একটি তদন্তকারী কমিটি রাজ্যের হাসপাতালগুলির নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখবেন। ইতিমধ্যেই স্বাস্থ্যভবন একটি পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গড়ে তুলেছে। সেটা ‘‌থ্রেট কালচার’‌ তদন্ত করার জন্য। আর নবান্নের এই তদন্ত কমিটি গড়ে তোলার মধ্যে রাজ্য সরকারের সদিচ্ছা দেখা যাচ্ছে। ফলে বন প্রশ্নের মুখ পড়তে পারে জুনিয়র ডাক্তারদের এবারের কর্মবিরতি।

    এই সাতজনের তদন্ত কমিটিতে রয়েছেন—সুরজিৎ করপুরকায়স্থ, নভেন্দ্র পাল সিং, জয় বিশ্বাস, মিস পুষ্পা, তাপস মাইতি, সৌম্য ভট্টাচার্য এবং খালিদ কায়জার। এই সাতজন প্রত্যেকটি সরকারি হাসপাতালে যাবেন। সেখানে সমস্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখবেন। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মতো সমস্ত কিছু করা হয়েছে কিনা দেখবেন। আর কিছু করা যায় কিনা তা নিয়ে পরামর্শ দেবেন। এমনকী সরকারি হাসপাতালগুলির নিরাপত্তা নিয়ে রাজ্য সরকারকে একটি রিপোর্ট দেবেন। সেই রিপোর্ট সরকার জমা দিতে পারে সুপ্রিম কোর্টেও।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)