• আরজি কর কাণ্ডের রাতেই JNM মেডিক্যালে ছাত্রীকে যৌন নির্যাতন, গ্রেফতার অধ্যাপক
    হিন্দুস্তান টাইমস | ০১ অক্টোবর ২০২৪
  • গত ৯ অগস্ট রাতে আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছিল। সেই রাতেই রাজ্যের আরও একটি মেডিক্যাল কলেজে যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন মেডিক্যাল কলেজের এক ছাত্রী। সেই ঘটনায় হাসপাতালেরই এক অধ্যাপকের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। সেই সংক্রান্ত মামলা গড়িয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। তবে হাইকোর্ট জামিন নাকচের ইঙ্গিত দিতেই আবেদনকারী অধ্যাপকের আইনজীবী জামিনের আবেদন প্রত্যাহার করে নেন। ঘটনাটি ঘটেছিল কল্যাণীর জহরলাল নেহেরু মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে।

    জানা গিয়েছে, নির্যাতিতা হলেন কলেজের মাইক্রোবায়োলজির দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী। তিনি কলেজের বিভাগীয় এক অধ্যাপকের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। তার ভিত্তিতে অধ্যাপককে গ্রেফতার করে পুলিশ। এই এদিকে সেই সময় আরজিকর কাণ্ড নিয়ে তোলপাড় হয়ে উঠেছিল রাজ্যসহ গোটা দেশ। সেই ঘটনায় অভিযুক্তকে আদালতে তোলা হলে বিচারক তার জামিন খারিজ করে দেন। পরে কলকাতা হাই কোর্টে জামিনের আবেদন জানান অধ্যাপক। জানা গিয়েছে, দ্বিতীয় বর্ষের নির্যাতিতা ছাত্রী আরজিকর নিয়ে প্রতিবাদ আন্দোলনে যোগ দিয়েছিলেন। প্রতিবাদ আন্দোলনের মঞ্চেই তিনি কেঁদে ফেলেছিলেন। সহকর্মীদের তিনি এবিষয়ে জানান। পরে সহকর্মীদের কাছ থেকে সাহস পেয়ে তিনি স্থানীয় থানায় অধ্যাপকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। গত ১৩ অগস্ট অভিযোগ জানিয়েছিলেন তিনি। তার ভিত্তিতে অধ্যাপককে গ্রেফতার করে পুলিশ।

    জানা গিয়েছে, নিম্ন আদালতে জামিন নাকচ হয়ে যাওয়ার পর অধ্যাপক গত সপ্তাহে কলকাতা হাইকোর্টে জামিনের আবেদন করেছিলেন। তবে তার জামিনের তীব্র বিরোধিতা করেন সরকারি আইনজীবীরা। তারা জানান, ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় ১৩ দিনের মাথায় চার্জশিট দাখিল করেছে পুলিশ। যদিও অধ্যাপকের আইনজীবী দাবি, করেন সেরকম কিছুই হয়নি ছাত্রীর ভুল বোঝাবুঝিতে একটা ঘটনা ঘটেছে। তবে বিচারপতি শুভ্রা ঘোষ জামিন খারিজের ইঙ্গিত দেন। তিনি জানান, যেহেতু চার্জশিট দেওয়া হয়ে গিয়েছে এবার ছাত্রীর সাক্ষ্য গ্রহণ হবে। তার আগে কোনওভাবেই জামিন দেওয়া যাবে না। 

    জানা যায়, ছাত্রীটি এই ঘটনায় জেএনএম কর্তৃপক্ষের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ জমা দেন। জেএনএমের তৎকালীন অধ্যক্ষ অভিজিৎ মুখোপাধ্যায় জানান, তরুণীর অভিযোগের ভিত্তিতে কলেজের অভ্যন্তরীণ কমিটি তদন্ত করে। এরপর ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই কমিটি রিপোর্ট জমা দেয়। পুলিশের কাছে সেই রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে বলে তিনি জানান।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)