• দায় এড়ানোর নাটক! কুণালের নিশানায় জুনিয়র ডাক্তাররা, 'তদন্ত কি আপনি করছেন?'
    হিন্দুস্তান টাইমস | ০১ অক্টোবর ২০২৪
  • দায় এড়ানোর নাটক করছেন জুনিয়ররা। কার্যত এবার সরাসরি  জুনিয়র ডাক্তারদের বিরুদ্ধে আসরে নেমে পড়লেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। এক্স হ্যান্ডেলে কুণাল ঘোষ লিখেছেন, 'পিএম, দেওয়াল ভাঙার নথিতে জুনিয়র ডাক্তারদের সই। আগে নীরবতা। প্রশ্নের মুখে স্বীকার। তবে দায় এড়ানোর নাটক। 

    ১) সই মানে মান্যতা। ভুল থাকলে সই কেন? 

    ২) জানতাম না বলেছিলেন কেন? 

    ৩) আপত্তি থাকলে সইয়ের সঙ্গে সেটা কেন লেখেননি? 

    ৪) কেন নথি ফাঁসের পরে নাটক? 

    ৫) সই এখন প্রতিবাদ কেন?'

    লিখেছেন কুণাল ঘোষ। 

    তবে কুণাল ঘোষের এই পোস্টের জবাবে মিশ্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে। একজন নেট নাগরিক লিখেছেন, সই পিএম-এর পদ্ধতিতে করেছে। পিএম রিপোর্টে করেছে? বাজার গরম করে লাভ নেই। এই বঙ্গে সাদা খাতার নম্বর বেশি হয় তাই না? এত উতলা হওয়ার কী আছে? 

    অপর একজন লিখেছেন তদন্তটা আপনি করছেন নাকি সিবিআই? কোনও তথ্য থাকলে সিবিআইকে বলুন আমাদের ভোট নিয়ে কি কোনও লাভ হবে? ক্ষমতা থাকলে প্রশ্নটা ধর্নামঞ্চে গিয়ে ডাক্তারদের জিজ্ঞাসা করুন। উত্তরটা হাতে হাতে পেয়ে যাবেন। 

    এদিকে এই সই করা নিয়ে আগে থেকেই আসরে নেমে পড়েছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। তবে জুনিয়র ডাক্তাররা ইতিমধ্যেই তার ব্যাখা দিয়েছেন। আন্দোলনকারী চিকিৎসক কিঞ্জল নন্দ জানিয়েছিলেন, '৯ অগস্ট সকালে আমরা খবর পাই চেস্ট বিভাগের সেমিনার রুমে এক জন পিজিটি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী আত্মহত্যা করেছে। বেলা গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে বুঝতে পারি আত্মহত্যা নয়, ধর্ষণ এবং খুন। তবে অভয়ার ময়নাতদন্ত রিপোর্ট নিয়ে যে বিভ্রান্তিকর খবর ছড়ানো হয়েছে, সেই নিয়ে আমরা কিছু বলতে চাই। আমরা চেয়েছিলাম, কোনও ভাবেই যেন ওই ঘটনাকে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেওয়া না হয়। আমাদের স্বল্প জ্ঞানে সেই চেষ্টাই করেছিলাম। সমাজমাধ্যমে যে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে, তার তীব্র নিন্দা জানাই।'

    এরপরেও জুনিয়র ডাক্তারদের পক্ষে আন্দোলনকারীদের অন্যতম কিঞ্জল নন্দ বলেছিলেন, 'ময়নাতদন্ত নিয়ে সমাজমাধ্যমে কিছু বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে। ওই চিকিৎসকের ময়নাতদন্ত হয়েছিল বিশেষজ্ঞদের তত্ত্বাবধানে। ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশের উচ্চ আধিকারিকদের উপস্থিতিতে ময়নাতদন্ত হয়। ওখানে জুনিয়র ডাক্তারদের সই থাকলেও ময়নাতদন্তের স্বচ্ছতার দায় আমাদের উপর বর্তায় না। আমাদের সন্দেহ হয়েছিল বলেই ম্যাজিস্ট্রেট ইনকোয়েস্টের দাবি করেছিলাম। বিভিন্ন উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা যেভাবে এই বিষয়টিকে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন, আমরা তার তীব্র নিন্দা জানাই। পরে আমরা পুলিশের কাছে পোস্টমর্টেম রিপোর্ট দেখতে চেয়েছিলাম। তবে তা দেখতে দেওয়া হয়নি। সুপ্রিম কোর্টও ময়নাতদন্ত নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে।'
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)