আচমকাই বিধানসভায় বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর ঘরে গেলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। বিধায়কদের শারদোৎসবের উপহার দিতে যান তিনি। মঙ্গলবার দুপুরে সেখানে যান কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী। কিন্তু সেই সময় নিজের অফিসে উপস্থিত ছিলেন না রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দুর অনুপস্থিতিতে বিজেপি পরিষদীয় দলের তরফে সুকান্তকে স্বাগত জানান মুখ্যসচেতক শঙ্কর ঘোষ। ওই সময় উপস্থিত ছিলেন বিজেপি বিধায়ক শীতল কপাট, বঙ্কিম ঘোষ, রবীন্দ্রনাথ মাইতি, অরূপ দাসেরা।
বিধায়কদের সঙ্গে আলাপচারিতায় রাজ্য সভাপতির মুখে উঠে আসে ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের প্রসঙ্গ। বিজেপি পরিষদীয় দল সূত্রে খবর, বিধায়কদের উদ্দেশে সুকান্ত জানিয়েছেন, আগামী বছর দেড়েকের মধ্যে রাজ্যে বিধানসভার নির্বাচন হবে। নিজের বিধানসভা কেন্দ্রে আপনারাই দলের মুখ। তাই এখন থেকেই ভোটের জন্য নিজ নিজ এলাকায় কাজ শুরু করে দিন। সুকান্ত জানান, প্রত্যেক বিধায়ককের প্রয়োজনে দল সব রকম ভাবে সাহায্য করবে। বিজেপির বিধায়কদের পরামর্শও দেন রাজ্য সভাপতি। তাঁর কথায়, বিধায়কদের নিজের বিধানসভা আসন ধরে রাখার জন্য মানুষের সঙ্গে জনসংযোগ বৃদ্ধি করতে হবে। গত বিধানসভা আসনে জয়ী সব আসন ধরে রাখতে হবে।
কয়েক জন বিজেপি বিধায়ক অভিযোগের সুরে সভাপতিকে জানান, সম্প্রতি রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় বন্যার প্রকোপ দেখা দিয়েছে। প্রথমে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে বন্যা হলেও, নেপালে ভয়াবহ বৃষ্টির কারণে উত্তরবঙ্গেও বন্যা হয়েছে। বন্যাদুর্গতদের সাহায্য করতে গেলে সহযোগিতা করছে না রাজ্য। বিধায়কদের অভিযোগ শুনে সুকান্ত জানান, রাজ্যের অসহযোগিতায় দুর্গত মানুষদের সাহায্য করতে না পারলে তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করুন। বার্তা পৌঁছে দিন, বিধায়ক আপনাদের পাশে রয়েছেন। বিধায়কেরা সুকান্তকে জানান, উৎসবের মরসুম কেটে গেলে আবার তিনি বৈঠকে করবেন।
বিধায়কদের সঙ্গে বৈঠক প্রসঙ্গে মুখ খুলতে চাননি সুকান্ত। বিধানসভা থেকে বেরিয়ে তিনি জানান, রাজনীতি নিয়ে কোনও আলোচনা হয়নি। পুজোর আগে উপহার দিতে এসেছিলাম।