ফের পূর্ণ কর্মবিরতি, কোন ১০ দফা দাবিতে অনড় জুনিয়র ডাক্তাররা?
এই সময় | ০২ অক্টোবর ২০২৪
মঙ্গলবার থেকে ফের পূর্ণ কর্মবিরতি শুরু করেছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। রাজ্যের ২৩টি মেডিক্যাল কলেজে দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত কর্মবিরতি চলবে বলে জানানো হয়েছে। হাসপাতালে ‘থ্রেট কালচার’ দূর করা এবং পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণের কথা মাথায় রেখে সরকারের সামনে ফের ১০ দফা দাবি রেখেছেন তাঁরা। কী সেই দাবিগুলি?জুনিয়র ডাক্তারদের দাবি -
১) আরজি কর হাসপাতালে নিহত চিকিৎসকের মৃত্যুর তদন্ত স্বচ্ছতা ও দ্রুততার সঙ্গে শেষ করতে হবে।
২) স্বাস্থ্য দপ্তরে দুর্নীতির দায় নিয়ে স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগমকে পদত্যাগ করতে হবে।
৩) রাজ্যের প্রতিটি সরকারি হাসপাতাল ও মেডিক্যাল কলেজে অবিলম্বে কেন্দ্রীয় ভাবে ‘রেফারেল’ ব্যবস্থা (রোগীকে অন্যত্র স্থানান্তর করার পদ্ধতি) চালু করতে হবে।
৪) রাজ্যের সমস্ত হাসপাতালে কতগুলো বেড ফাঁকা রয়েছে, সেটি জানানোর জন্য একটি ডিজিটাল মনিটার সিস্টেম রাখতে হবে।
৫) রাজ্যের প্রতিটি ও হাসপাতালগুলিত মেডিক্যাল কলেজ ভিত্তিক পৃথক টাস্ক ফোর্স গঠন করতে হবে। জুনিয়র ডাক্তারদের নির্বাচিত প্রতিনিধিকে সেই টাস্ক ফোর্সের সদস্য করতে হবে। এছাড়া হাসপাতালগুলিতে পর্যাপ্ত সিসিটিভি, ডাক্তারদের জন্য অন কল রুম, মহিলা শৌচালয়, হেল্পলাইন নম্বর, প্যানিক বটন সিস্টেম চালু করতে হবে।
৬) এছাড়া সমস্ত সরকারি হাসপাতালে পুলিশি নিরাপত্তা বাড়াতে হবে। সিভিক ভলান্টিয়ারের বদলে পুলিশকর্মীদের মোতায়েন করতে হবে। নারী সুরক্ষার জন্য মহিলা পুলিশকর্মীদেরও রাখতে হবে।
৭) সরকারি হাসপাতালগুলিতে ডাক্তার, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের শূন্যপদে দ্রুত নিয়োগ করতে হবে।
৮) মেডিক্যাল কলেজগুলিতে থ্রেট কালচার দূর করতে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান কমিটি তৈরি করতে হবে। রাজ্য স্তরেও পৃথক অনুসন্ধান কমিটি গড়তে তবে।
৯) সব মেডিক্যাল কলেজে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে। পাহাপাশি, মেডিক্যাল কলেজগুলির রেসিডেন্ট ডাক্তারদের সংগঠনকে স্বীকৃতি দিতে হবে। সমস্ত পরিচালন কমিটিতে চিকিৎসক পড়ুয়া ও জুনিয়র ডাক্তারদের প্রতিনিধি রাখতে হবে।
১০) রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল এবং পশ্চিমবঙ্গ হেল্থ রিক্রুটমেন্ট বোর্ডে দুর্নীতির অভিযোগগুলির প্রসঙ্গে দ্রুত তদন্ত শুরু করতে হবে।
এই ১০ দফা দাবি নিয়ে ফের আন্দোলন শুরু করেছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। যদিও, সরকারি হাসপাতালে সুরক্ষা ব্যবস্থা গ্রহণে আগামী ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত রাজ্য সরকারকে সময় বেঁধে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।