রাজপথে ডাক্তার থেকে নাগরিক সমাজ, দেবীপক্ষের আগেও মিছিল শহরে
এই সময় | ০২ অক্টোবর ২০২৪
দ্রোহের উৎসব। দেবীপক্ষের প্রাক্কালে রাজপথ ফের নাগরিক সমাজের দখলে। ৬০টির বেশি সংগঠনের ডাকে পিতৃপক্ষের শেষ দিনে আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে মিছিলের সাক্ষী থাকল কলকাতা। মিছিল থেকে স্লোগান উঠল ‘বিচার চাই’।মঙ্গলবার জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অফ ডক্টরর্স-সহ ৬০ টির বেশি সংগঠনের ডাকে কলেজ স্কোয়ার থেকে রবীন্দ্রসদন পর্যন্ত সাড়ে ৪ কিলোমিটারেরও বেশি রাস্তার মহামিছিল করা হয়। ডাক্তারদের দাবি, আর. জি কর কাণ্ডে জড়িত সকল অপরাধীদের বিচার চাই- শাস্তি, প্রমাণ লোপাটে যুক্ত সকলের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই, নারী নিরাপত্তা, নারী স্বাধীনতা, নারীর সমান অধিকার, 'থ্রেট কালচার' ও দমনপীড়ণের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিবাদ এবং হাসপাতালগুলিতে বেনিয়ম ও দুর্নীতির আখড়া সিন্ডিকেট রাজের অবসানের দাবিতে এদিনের মিছিলের আয়োজন করা হয়েছে।
ডাক্তারদের মিছিলের সঙ্গে রয়েছে মেয়েদের রাত দখলের ডাক দেওয়া মহিলা সংগঠন। এর পাশাপাশি যৌন কর্মী, রূপান্তরকামী, বিভিন্ন ফুটবল ক্লাবের সমর্থকরাও এদিনের মিছিলে পা মেলান। ডাক্তারদের পাশাপাশি একাধিক নাগরিক সমাজের তরফেও এদিন মিছিলের আয়োজন করা হয়। কলকাতার প্রতিবাদের সুর ছড়িয়ে পড়েছে জেলায় জেলায়।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় হুগলি জেলার চন্দননগরের বাগবাজার মোড়ে একটি নাগরিক সংগঠনের ডাকে এক ঘণ্টা অবস্থান বিক্ষোভ হয়। আগামীকাল বুধবার সন্ধ্যায় চন্দননগরে গঙ্গার বিভিন্ন ঘাটে প্রদীপ ভাসিয়ে নির্যাতিতার আত্মার শান্তিকামনা করার ডাক দিয়েছে একটি সংগঠন। এদিকে, বুধবার ভোর ৫টায় প্রতিবাদ মিছিলের ডাক দিয়েছে বৈদ্যবাটির নাগরিক সংগঠন। শ্রীরামপুরে বুধবার ‘ভোর দখল’-এর ডাক দিয়েছেন নাগরিকেরা।
প্রসঙ্গত, দেবীপক্ষের সূচনায় মহালয়ার দিনেও ডাক্তারদের পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি রয়েছে। কলেজ স্ক্যোয়ার থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত মিছিল করার কথা রয়েছে তাঁদের। ধর্মতলায় একটি সভা করার কথা রয়েছে। ডাক্তারদের প্রতিনিধি অনিকেত মাহাতো জানিয়েছে, ২ অক্টোবর মিছিল করা পর্যন্ত কর্মসূচি স্থির রয়েছে। তবে, পুজোর দিনগুলিতে কী হবে বা কী হবে না, সে বিষয়ে ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টর্স ফ্রন্টের তরফে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।