• বিল না মেটানোয় বন্ধ পায়রা সরবরাহ, 'বলি বিভ্রাট' মদনমোহন মন্দিরে
    এই সময় | ০২ অক্টোবর ২০২৪
  • কয়েক লাখ টাকা বিল বাকি থাকায় বন্ধ পায়রা সরবরাহ। আর এই কারণে কোচবিহারের মদনমোহন মন্দিরের আনন্দময়ী কালী ও জয়তারা পুজোতে বলি হল না। মঙ্গলবার কোচবিহারের মদনমোহন মন্দিরে এই ঘটনা কার্যত নজিরবিহীন। পুজো না দিয়ে মন্দিরে বাইরে ধর্নায় বসেন পুরোহিতরা। পরে অবশ্য সমস্যা মেটে।অভিযোগ, মদনমোহন মন্দিরের ইতিহাসে এই প্রথমবার পায়রা না আসায় বন্ধ ছিল বলি। যদিও কোচবিহার দেবোত্তর ত্রাস্ট বোর্ডের সচিব কৃষ্ণ গোপাল দাস ধারা বলেন, 'পায়রা দিতে দেরি হওয়ায় কিছুটা সমস্যা হয়েছিল। জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা করা হয়েছে। যে ব্যক্তি পায়রা সরবরাহ করে তার কিছু বিল বকেয়া রয়েছে। সেই টাকা মেটানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।' তবে কত টাকা বকেয়া রয়েছে? তা স্পষ্ট করে কিছু জানাননি তিনি।

    ১৮৯০ সালে মহারাজা নৃপেন্দ্র নারায়ণের আমলে কোচবিহার মদনমোহন মন্দির প্রতিষ্ঠিত হয়। মদনমোহনের পাশাপাশি আনন্দময়ী কালী ও জয়তারা মায়ের মূর্তি স্থাপন করেও পুজো শুরু হয়। এই জয়তারা ও আনন্দময়ী কালীর পুজোতে প্রতিদিন পায়রা বলি দেওয়া হয়। শুরু থেকেই এই প্রথা চলে আসছে।

    কিন্তু মঙ্গলবার পুরোহিত পুজোতে বসলেও জানা যায় বলির পায়রা পৌঁছয়নি। ফলে দীর্ঘক্ষণ বসে থাকতে হয় পুরোহিতদের। এরপরেই মন্দিরের সামনে ধর্নায় বসেন তাঁরা। এই ঘটনায় হইচই পড়ে যায় মদনমোহন মন্দিরে। পুজোর জন্য দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয় ভক্তদের। এরপরেই মদনমোহন মন্দিরে ছুটে আসেন দেবোত্তর ত্রাস্টের সচিব কৃষ্ণ গোপাল ধারা। জরুরি ভিত্তিতে পায়রার ব্যবস্থা করা হয়। এরপর বলি দেওয়া হয়।

    এরপর মদনমোহন মন্দিরের পুরোহিত খগপতি মিশ্র বলেন, ‘যে পায়রা সাপ্লাই দেয় তার বিল বকেয়া থাকায় পায়রা আসেনি। ফলে বলি দেওয়া যায়নি। আমরা বসেছিলাম। যদিও পরে সমস্যা মেটে।’
  • Link to this news (এই সময়)