বাঁকুড়া-হাওড়া ভায়া মসাগ্রাম রেললাইন সংযুক্তিকরণের দাবি ছিল বহুদিনের। রেলযাত্রীদের কাছে রুটটি ছিল বহু প্রতীক্ষিত। সেই দাবিকে মান্যতা দিয়েই এই রুটটির কাজ শুরু হয়েছিল। সেই কাজ এবার প্রায় শেষের পথে। আর কদিন পরে জঙ্গলমহলের মানুষজন এক ট্রেনে চেপেই বাঁকুড়া থেকে সোজা হাওড়া পৌঁছবেন।
আজ, মঙ্গলবার সৌমিত্র খাঁ বলেন, সাধারণ মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল এই রেললাইনের। আমরাও বারংবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি এবং তার ফলস্বরূপ আজ রেললাইন সংযুক্তিকরণের কাজ প্রায় শেষের পথে। সৌমিত্র আরও বলেন, বারবার সংসদে আওয়াজ তোলা হয়েছে। এই প্রকল্পে পূর্ব রেল এবং দক্ষিণ পূর্ব রেলের সংযোগ ঘটবে। তিনি জানান, দিল্লি গিয়ে মন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলবেন। সবকিছু ঠিক থাকলে চলতি মাসেই রেললাইনের শুধু উদ্বোধন হবে বলে জানান তিনি।
বাঁকুড়া থেকে মসাগ্রাম হয়ে যাত্রিবাহী ট্রেন এবার সোজা পৌঁছবে হাওড়া স্টেশনে। মাঝে আর ট্রেন পাল্টাতে হবে না যাত্রীদের। মসাগ্রাম স্টেশনে মিশে যাবে পূর্ব রেল এবং দক্ষিণ-পূর্ব রেল। তৃণমূলের দাবি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেলমন্ত্রী থাকাকালীন এই বিষয়ে উদ্যোগী হয়েছিলেন তিনি। বিজেপি অবশ্য সেদাবি নস্যাৎ করে।
২০০০ সাল থেকে শুরু হয় এই রেলরুটের কাজ। বাঁকুড়া থেকে হাওড়া-বর্ধমান কর্ড শাখার মসাগ্রাম পর্যন্ত রেলপথ প্রথম তৈরি হয়। মসাগ্রাম হয় জংশন স্টেশন। নতুন করে গড়ে তোলা এই রেলপথের উদ্বোধন হয় ২০০৫ সালে । এর পরে শুরু হয় বাঁকুড়া থেকে মসাগ্রাম পর্যন্ত ১১৮ কিলোমিটার ব্রডগেজ রেল পথের বৈদ্যুতিকরণের কাজ। ২০২১ সালের প্রথম দিকে সেই কাজও শেষ হয়। এবার এই রেলপথ দিয়েই যাত্রিবাহী ট্রেন বাঁকুড়া থেকে মসাগ্রাম হয়ে হাওড়া যাবে।