পুলিসসুত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনাটি ২০১৮ সালে খানাকুলের রাধাবল্লভপুর এলাকার। হঠাত্ বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয় চার বছরের নাবালিকা। ২০১৮ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি ওই নাবালিকার বাবা তাঁর মেয়ের নিখোঁজ হওয়ার অভিযোগ দায়ের করেন খানাকুল থানায়। পুলিস ঘটনার তদন্তে নেমে মৃত নাবালিকার প্রতিবেশী এক ব্যক্তির বাড়ির টয়লেটের চেম্বারের মধ্যে থেকে তাকে উদ্ধার করে। মুখে গামছাবাঁধা অবস্থায় ওই শিশুকন্যাকে পাওয়া যায়। তদন্তে নেমে পুলিস জানতে পারে, মৃত শিশুকন্যার দিদিমা স্থানীয় ওই তান্ত্রিকের তন্ত্রসাধনার জন্য তার নিজের নাতনিকে দিয়ে দেন।
ওই তান্ত্রিক প্রথমে ওই শিশুকন্যাকে ধর্ষন করেন। আর তাতে সহযোগিতা করেছিলেন তাঁর স্ত্রী সাগরিকা পন্ডিত। পরে তার মৃতদেহ স্থানীয় এক ব্যক্তির বাড়ির টয়লেট চেম্বারের মধ্যে ফেলে দেন। ঘটনার পরেই অভিযুক্ত তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিস। তারপর থেকে টানা প্রায় ৬ বছর ধরে এই ঘটনার বিচার-প্রক্রিয়া চলার পর এদিন এই অভিযোগের রায় দান করেন বিচারপতি। ইতিমধ্যেই শুনানি চলাকালীন জেল হেফাজতেই শারীরিক অসুস্থতার জেরে মৃত্যু হয় অভিযুক্ত তান্ত্রিক মুরারি পন্ডিতের। এই ঐতিহাসিক রায়ে গোটা আরামবাগ মহকুমা জুড়ে শোরগোল পড়ে যায়।