নিজস্ব প্রতিনিধি, রানাঘাট: রাস্তার ধারে সারি সারি মিষ্টির দোকান। ঝকঝকে শো-কেসে থরে থরে সাজানো হরেক মিষ্টি। দামও বেশ ভালোই। কিন্তু, আদৌ কি এইসব মিষ্টি স্বাস্থ্যকর? প্রশ্ন তুলে দিল ডিস্ট্রিক্ট এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ (ডিইবি)। মঙ্গলবার রানাঘাটের একাধিক মিষ্টির দোকানে হানা দেয় তারা। তাতেই পর্দা ফাঁস। অধিকাংশ মিষ্টি পচা কিংবা মেয়াদ উত্তীর্ণ উপকরণ মিশিয়ে তৈরি করা। তার চেয়েও বড় কথা, অস্বাস্থ্যকর রংয়ের ব্যবহার হচ্ছিল মিষ্টি তৈরিতে।
এদিন দুপুরে আচমকাই রানাঘাট পুলিস জেলার এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ হানা দেয় রানাঘাটের একাধিক মিষ্টির দোকানে। তাদের সঙ্গে ছিলেন ফুড সেফটি ডিপার্টমেন্টের আধিকারিকরাও। প্রথমে তাঁরা স্বামী বিবেকানন্দ রোডের একটি মিষ্টির দোকানে হানা দেন। সেখানে মিষ্টিতে কৃত্রিম রং ব্যবহারের প্রমাণ মেলে। সঙ্গে সঙ্গেই বেশ কয়েকটি সন্দেশের ট্রে ফেলে দেওয়া হয়। এরপর স্টেশন সংলগ্ন জিএনপিসি রোডের একটি বিখ্যাত মিষ্টির দোকানের কারখানা রয়েছে দুর্গাদাস পার্ক সংলগ্ন। দেখা যায়, বাথরুমের পাশেই তৈরি হচ্ছে মিষ্টি। নর্দমার পাশে সাজানো সন্দেশের ট্রে। কারখানা থেকে মিলেছে পচা ক্ষীর, অস্বাস্থ্যকর রং, নিম্নমানের ঘি, কেশরের নামে ব্যবহার করা কিছু গুঁড়ো। ডিইবি-র ডিএসপি লক্ষ্মীনারায়ণ বলেন, দুর্গাদাস পার্ক লাগোয়া ওই কারখানায় এমন মিষ্টির হদিশ মিলেছে, যাতে ফাঙ্গাস গজিয়ে গিয়েছে। প্রস্রাবাগারের পাশে মিষ্টি তৈরি হচ্ছে। ড্রেনের পাশেই রাখা হচ্ছে সন্দেশ। আমরা নিম্নমানের মিষ্টি ফেলে দিয়েছি। বেশ কিছু মিষ্টির নমুনা সংগ্রহ করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। পরীক্ষাগারে পাঠানো হবে। ক্ষতিকর কিছু মিললে মামলা করা হবে। -নিজস্ব চিত্র