• জলদাপাড়া থেকে এলেন চিকিৎসক, হস্তিশাবককে প্রাণে বাঁচাতে মরিয়া চেষ্টা
    বর্তমান | ০২ অক্টোবর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, জলপাইগুড়ি (লাটাগুড়ি): জলঢাকা নদীতে ভেসে আসা সেই একরত্তি হস্তিশাবককে বাঁচাতে মরিয়া চেষ্টা বনদপ্তরের। তড়িঘড়ি জলদাপাড়া থেকে আনা হয়েছে বন্যপ্রাণী চিকিৎসক উৎপল শর্মাকে। ২২ দিনের ওই হস্তিশাবককে দেওয়া হচ্ছে ওষুধ, স্যালাইন। সঙ্গে পথ্য হিসেবে গুঁড়ো দুধ, গুড়-জল ও কালো নুন। অবস্থা একটু স্থিতিশীল হলে শাবকটিকে পাঠানো হবে জলদাপাড়ার পিলখানায়। সেখানে একটি কুনকির কিছুদিন আগে সন্তান হয়েছে। তাকেই ‘দত্তক’ দেওয়া হবে এই হস্তিশাবকটিকে। তবে শাবকটিকে ওই কুনকি মেনে নেবে কি না, তা নিয়েও সংশয় রয়ে যাচ্ছে বনকর্তাদের।


    মঙ্গলবার গোরুমারা বন্যপ্রাণ বিভাগের ডিএফও দ্বিজপ্রতিম সেন বলেন, খরস্রোতা নদীতে অনেকটা পথ ভাসতে ভাসতে এসেছে হস্তিশাবকটি। জলের তোড়ে মারাত্মকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েছে সে। আমরা জলদাপাড়া থেকে চিকিৎসক নিয়ে এসেছি। গোরুমারাতেও চিকিৎসক রয়েছেন। হস্তিশাবকটিকে দ্রুত সুস্থ করে তোলার জন্য আমরা আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছি।


    সোমবার বিকেলে নাগরাকাটা বস্তি এলাকায় উদ্ধার হয় হস্তিশাবকটি। বাসিন্দারা জানিয়েছেন, প্রথমে সেটিকে জলঢাকা নদীতে হিলা চা বাগান এলাকায় ভাসতে দেখা যায়। সাঁতার কেটে কোনওমতে পাড়ে ওঠার জন্য মরিয়া চেষ্টা চালাতে থাকে হস্তিশাবকটি। কিন্তু, বারবারই ব্যর্থ হয়। হিলা চা বাগানের বাসিন্দারাও শাবকটিকে উদ্ধারের চেষ্টা করেন। কিন্তু, পারেননি। সেখান থেকে জলের স্রোতে ভাসতে ভাসতে হস্তিশাবকটি চলে আসে নাগরাকাটা বস্তির রেলসেতুর কাছে। সেখানে কোনওমতে সাঁতরে পাড়ে ওঠে সে। তখনই সেটি স্থানীয়দের নজরে পড়ে।


    গোরুমারা দক্ষিণের রেঞ্জার সুদীপ দে বলেন, চিকিৎসকের পরামর্শে হস্তিশাবকটিকে গুড়-জল, কালো নুন দেওয়া হচ্ছে। সঙ্গে গুঁড়ো দুধ গুলে খাওয়ানোর চেষ্টা চলছে। একটু একটু করে খাচ্ছে শাবকটি। দেখা যাক কী হয়। - নিজস্ব চিত্র। 
  • Link to this news (বর্তমান)