গোপাল সূত্রধর, পতিরাম: বালুরঘাটের ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের সুকান্ত কলোনি ঢাকি পাড়া বলেই পরিচিত। সারাবছর কদর না থাকলেও দুর্গাপুজোয় টানাটানি পড়ে যায় ঢাকিদের নিয়ে।
তবে তাঁদের দাবি, আগের মতো ষষ্ঠী থেকে দশমী পর্যন্ত চরম ব্যস্ততা আর দেখা যাচ্ছে না। অত্যাধুনিক বাদ্যযন্ত্র, ডিজের দাপটে ঢাকিদের কদর ক্রমশ কমছে। শুধুমাত্র পূর্বপুরুষদের পেশা ধরে রাখতেই পুজোয় কয়েকটা দিন ঢাক বাজিয়ে আসছেন বালুরঘাট শহরের সুকান্ত কলোনির ঢাকিরা।
ওই এলাকায় বাস করে ৫০টির বেশি ঢাকি পরিবার। এছাড়া আশেপাশের অনেকেই ঢাক বাজিয়ে রোজগার করেন। পুজোয় বাড়তি কিছু উপার্জনের আশায় বসে থাকেন তারা। দুর্গাপুজোয় প্রত্যেকের বায়না বেশি থাকে। একই দিনে দুটি মণ্ডপেও ঢাক বাজাতে দেখা যায় অনেককে। এবার সকলের কমবেশি বায়না জুটেছে।
ঢাকি গণেশ সিং বলেন, ঢাক বাজিয়েই সারা বছর সংসার চালাই। পুজোতে বাড়তি কিছু রোজগার করার আশা থাকে। কিন্তু আগের তুলনায় আমাদের বায়না অনেক কমেছে। কেন জানি না, দিন দিন আমাদের কদর কমে যাচ্ছে। এখন পুজো মণ্ডপে অত্যাধুনিক বাদ্যযন্ত্র ব্যবহার করা হয়। সেজন্য হয়তো আমাদের আর প্রয়োজন হচ্ছে না। আরেক ঢাকি উত্তম সিংয়ের কথায়, আমাদের এলাকায় বহু ঢাকি রয়েছেন। পূর্বপুরুষদের পেশা বলে ধরে রাখার চেষ্টা করছি। পুজোয় সরকার সব পেশার মানুষের জন্যেই ভাবে। আমাদের শিল্পীভাতার ব্যবস্থা করলে উপকার হবে। ঢাকের শব্দেই আগমণ হয় মায়ের। ষষ্ঠী থেকে দশমী পর্যন্ত ঢাক ছাড়া পুজো সম্ভব নয়। তবে পুজোর পাশাপাশি মণ্ডপ এবং দশমীতে বিসর্জনে ঢাকের চাহিদা বেশি থাকে। ডিজে ও অত্যাধুনিক বাদ্যযন্ত্রে সেই প্রবণতা কমছে। অনেক জায়গায় সাউন্ড সিস্টেমের মাধ্যমে ঢাকের শব্দ ব্যবহার করা হচ্ছে।