গোপাল সূত্রধর, পতিরাম: প্লাস্টিকের দাপটে হারিয়ে যেতে বসেছে শোলা শিল্প। কিন্তু এখনও বালুরঘাটের বেশকিছু শিল্পী ধরে রেখেছেন সেই কাজ। সারাবছর তেমন আয় না হলেও দুর্গাপুজোয় বাড়তি রোজগার করছেন অনেকে। কেউ আবার বংশপরম্পরায় শোলার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।
দুর্গাপুজো উপলক্ষে পাড়ায় পাড়ায় প্যান্ডেল করে প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। প্রতিমার সাজের জন্য শোলার অলঙ্কার প্রয়োজন। ফলে বালুরঘাট সহ আশেপাশের এলাকায় শোলার কাজ চলছে জোরকদমে। মূলত প্যান্ডেলের জন্য শোলা দিয়ে বিভিন্ন নকশা বানাচ্ছেন মহিলারা। বালুরঘাট ব্লকের বোয়ালদার এলাকার প্রবীণ গণেশ মণ্ডল বলেন, আমাদের কয়েক প্রজন্ম শোলার কাজ করছি। সারাবছর তেমন লাভ হয় না। তবে দুর্গাপুজোর সময় কিছুটা কদর বাড়ে। এবছর শোলা দিয়ে ফুল, ঠাকুরের মুকুট সহ বিভিন্ন সরঞ্জাম বানাচ্ছি। সেগুলি আশেপাশের পুজো কমিটিগুলিকে দেব। পুকুর, ডোবা ভরাট হয়ে যাওয়ায় এখন শোলা সংগ্রহ করা ঝক্কির কাজ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বালুরঘাটের দুর্লভপুরের শিবারানি মণ্ডলের কথায়, এখন শোলা সেভাবে পাওয়া যায় না। আশেপাশের গ্রামে পুকুর, ডোবা থেকে কোনওরকমে শোলা জোগাড় করে কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। বছরের অন্যান্য সময় কৃষিকাজ করি। কিন্তু দুর্গাপুজোর আগে বাবার শেখানো শোলার কাজ করে বাড়তি কিছু রোজগার হয়। এছাড়া প্যান্ডেলে শোলার কারুকার্য করেও উপার্জন করছে মহিলারা। এবিষয়ে বালুরঘাট শহরের কাকলি রবিদাস ও প্রিয়া দত্ত বলেন, পুজোর আগেই একমাত্র এই কাজগুলি পাই। যা আয় হয়, সেই টাকায় ছেলেমেয়েদের আবদার মেটাতে পারি। করোনার জন্য গত কয়েক বছর সেভাবে কাজ ছিল না। এবছর মনে হচ্ছে রোজগার বাড়বে।