বিদ্যুৎস্পৃষ্টের অভিযোগ অস্বীকার দপ্তরের, কুমলাইতে ছেঁড়া তারের স্পর্শে মৃত্যু দুই শ্রমিকের, জখম তিন
বর্তমান | ০২ অক্টোবর ২০২৪
নিজস্ব প্রতিনিধি, জলপাইগুড়ি ও সংবাদদাতা, নাগরাকাটা: মাল ব্লকের কুমলাইতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যুর অভিযোগ। মঙ্গলবার হাইটেনশনের ছিঁড়ে পড়া তারের সংস্পর্শে এসে চা বাগানে কাজে যাওয়ার পথে দুই মহিলার মৃত্যু হয় বলে অভিযোগ। গুরুতর জখম হয়ে মালবাজার হাসপাতালে ভর্তি তিন মহিলা শ্রমিক। মৃতদের নাম রাধিকা ওরাওঁ (১৯) ও আলিশা ওরাওঁ (১৭)। বাড়ি খাগরিজানে। ঘটনার পর সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টো পর্যন্ত রাস্তা অবরোধ চলে। পরে প্রশাসনিক হস্তক্ষেপে তা উঠে যায়।
যদিও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যুর অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিদ্যুৎ বণ্টন কোম্পানি। তাদের দাবি, ১১ হাজার ভোল্টের তার যাতে ঝুলে না পড়ে, সেজন্য নীচে তারের জালি থাকে। কোনও কারণে ওই জালি নিচু হয়ে গিয়েছিল। পিকআপ ভ্যানে দাঁড়িয়ে ওই মহিলা চা শ্রমিকরা যখন কাজে যাচ্ছিলেন, নীচে নেমে আসা তারের জালিতে আটকে যায় গাড়িটি। গতি বেশি থাকায় গাড়ি থেকে ছিটকে পড়ে আঘাত পেয়ে দু’জনের মৃত্যু হয়েছে।
বিদ্যুৎ বণ্টন কোম্পানির জলপাইগুড়ির রিজিওনাল ম্যানেজার সঞ্জয় মণ্ডল বলেন, মৃতদের পরিবারকে পাঁচ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। পরিবারের একজনকে দপ্তরে অস্থায়ী কর্মী হিসেবে নিয়োগের দাবি খতিয়ে দেখছি। আহতদের চিকিৎসার খরচ দেওয়া হবে। তাঁর দাবি, প্রাথমিকভাবে যা রিপোর্ট পেয়েছি, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি। জখমদের শরীরে কোথাও পুড়ে যাওয়ার চিহ্ন নেই। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে কী আসে দেখা যাক। আমরা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছি। জলপাইগুড়ির এসপি খণ্ডবাহলে উমেশ গণপত বলেন, কীভাবে দু’জনের মৃত্যু হয়েছে, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে স্পষ্ট হবে।
নেওড়া রেলব্রিজের পাশে খাগরিজানে মৃতদের বাড়িতে যান জেলা তৃণমূলের সভানেত্রী তথা জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ মহুয়া গোপ। আহতদের দেখতে হাসপাতালেও যান। মহুয়া গোপ বলেন, মৃত ও জখমদের পরিবারকে ত্রাণ দিতে বলা হয়েছে ব্লক প্রশাসনকে। দলগতভাবে পরিবারগুলির পাশে আছি।
(এই ছিঁড়ে পড়া তারেই দুর্ঘটনা ঘটে। - নিজস্ব চিত্র।)