সংবাদদাতা, হবিবপুর: পুনর্ভবা, ব্রাহ্মণী ও হাড়িয়া নদীর জলে দু’মাস আগেই বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিল। জলমগ্ন হয়েছিল বেশ কয়েকটি গ্রাম। তার দু’মাসের মধ্যেই ফের ওই তিনটি নদীর জল হু হু করে বেড়ে গ্রামে ঢুকে পড়ছে। পুজোর মুখে ফের বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে চরম সমস্যায় পড়েছেন মালদহের বামনগোলা ব্লকের চাঁদপুর পঞ্চায়েতের ছোটপাথারী, বটতলী, খুঁটাদহ সহ ১২টি গ্রামের কয়েক হাজার বাসিন্দা। গ্রামের বেশকিছু স্কুল, বাড়ি ও পথঘাট ডুবে গিয়েছে। যদিও বন্যা পরিস্থিতিতে নজর রাখছেন বলে জানিয়েছেন চাঁদপুর পঞ্চায়েতের প্রধান পাপিয়া ঢালি সরকার। বন্যা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য গ্রামের প্রধান রাস্তার মুখে খাঁড়ি এলাকায় ব্রাহ্মণীর জল হাড়িয়া নদীতে ফেলার জন্য সেচদপ্তর ছ’টি স্লুইচ গেট তৈরি করেছে। তবে তাতেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি। বাসিন্দাদের দাবি, স্লুইচ গেটের মুখ ছোট হওয়ায় বেশি পরিমাণ জল যেতে পারে না। ফলে পাশের মাঠ দিয়ে জল গ্রামে ঢুকে পড়ছে। অনিল বিশ্বাস নামে এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, রাস্তার মাঝামাঝিতে একটি বড় কালভার্ট নির্মাণ করতে হবে। তাহলে বৃষ্টির জল মাঠ দিয়ে হাড়িয়া নদীতে পড়বে। এতে গ্রাম জলমগ্ন হওয়ার সম্ভাবনা অনেক কমে যাবে।
পুজোর মুখে ফের গ্রামে জল ঢুকে পড়তেই চিন্তায় পড়েছেন বাসিন্দারা। ইতিমধ্যেই অনেকের বাড়ির উঠোনে, কারও বাড়ির দরজায় এসে পৌঁছছে জল। বামনগোলার বিডিও মনোজিৎ রায়ের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন ধরেননি। মেসেজেরও কোনও উত্তর দেননি। বামনগোলা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি পারুল কুজুর বলেন, জলমগ্ন বাসিন্দাদের সহযোগিতা করা হবে। বন্যা পরিস্থিতিতে আমরা নজর রেখেছি।