• মণ্ডপে আদিবাসী নৃত্য পরিবেশনের জন্য মহড়া মহালয়া থেকেই
    বর্তমান | ০২ অক্টোবর ২০২৪
  • সংবাদদাতা, কান্দি: কান্দি মহকুমার আদিবাসী গ্রামে দুর্গাপুজো না হলেও পুজোর আনন্দে মেতে ওঠেন এই সম্প্রদায়ের মানুষ। এলাকার বিভিন্ন পুজো মণ্ডপে আদিবাসী নৃত্য পরিবেশিত হয়। এখনই অনেকের কাছে পুজোয় নৃত্যের বরাত চলে এসেছে। তাই মহালয়ার দিন থেকেই তাঁরা নৃত্যের মহড়া শুরু করছেন। অনেকে আজই ধোয়া জামাকাপড় পড়ে মারাংবুরু দেবতার কাছে আশীর্বাদ নিতে যাবেন।


    এই মহকুমায় প্রায় ৩০টি আদিবাসী অধ্যুষিত গ্রাম রয়েছে। এর মধ্যে কান্দি ব্লকের মহালন্দি-২ পঞ্চায়েতে আটটি গ্রাম রয়েছে। খড়গ্রাম ও বড়ঞা ব্লকেও কয়েকটি করে আদিবাসী অধ্যুষিত গ্রাম রয়েছে। আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষ নিজেরা দুর্গাপুজো করেন না। তবে গ্রামের অন্য পাড়ার পুজো, অথবা প্রতিবেশী গ্রামে গিয়ে পুজোর আনন্দে মেতে ওঠেন।


    বড়ঞা ব্লকের সূর্য্যবাটি গ্রামের বাসিন্দা সমীরণ হেমরম বলেন, আমাদের গ্রামে কোনও দুর্গাপূজা হয় না। তবে গ্রামের বেশিরভাগ মানুষ দুর্গাপুজোকে নিজেদের পুজোই মনে করেন। পুজোর খুশিতে আমরা সবাই মেতে উঠি। অপর বাসিন্দা শকুন্তলা মুর্মু বলেন, মহালয়ার দিন থেকে গ্রামের মানুষ খুশিতে মেতে উঠেন। দুর্গাপুজোয় অনেক মণ্ডপে আদিবাসী নৃত্য করার জন্য বায়না এসেছে। তাই আজ মহালয়ার দিন মারাংবুরুকে প্রণাম করে মহড়া শুরু করব।


    গ্রামের মহিলা হিমা মুর্মু জানান, আজ কাচা কাপড় পড়ে মারাংগুরু দেবতাকে প্রণাম করে আশীর্বাদ নেওয়ার দিন। তবে কবে থেকে এই প্রথা চালু হয়েছে সেটা জানা নেই।


    কান্দি ব্লকের উগ্রমসজিদডাঙা গ্রামের বাসিন্দা সুবান হাঁসা বলেন, আমরা নিজেরা দুর্গাপুজো না করলেও পুজোয় অংশ নিই। অনেকে এসময় নতুন জামাকাপড়ও কেনেন। সেটা পরেই ঠাকুর দেখতে বের হন। অনেক পুজো কমিটি আদিবাসী নৃত্যের জন্য বায়না দেয়। এবছর এমন ছয়টি বায়না এসেছে। তার জন্য মহড়ার দরকার পড়ে। সেই মহড়া আজ মহালয়ার দিন থেকেই শুরু হবে।


    খড়গ্রাম ব্লকের ছত্রপুর গ্রামের বাসিন্দা টুলু হেমরম জানান, আমাদের গ্রামেও দুর্গাপুজো হয় না। তবে গ্রামের সবাই অন্য গ্রামের দুর্গাপুজোয় অংশ নেন। প্রতিবেশী জয়পুর গ্রামের বিভিন্ন মণ্ডপে আমরা আদিবাসী নৃত্য পরিবেশন করি।
  • Link to this news (বর্তমান)