নভেম্বর মাস থেকে ধান কেনার প্রক্রিয়া শুরু করছে খাদ্যদপ্তর
বর্তমান | ০২ অক্টোবর ২০২৪
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: আগামী মাস (নভেম্বর) থেকে রাজ্যজুড়ে সরকারি উদ্যোগে কৃষকদের কাছ থেকে ধান কেনার কাজ শুরু হবে। তার জন্য আগাম প্রস্তুত হচ্ছে খাদ্যদপ্তর। স্থায়ী সেন্ট্রাল ক্রয় কেন্দ্রের (সিপিসি) পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য এবং কৃষকদের মধ্যে প্রচার চালাতে প্রায় ২ কোটি ৩০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। এই খাতে ঠিক করে দেওয়া হয়েছে জেলাগুলির প্রাপ্য অর্থও। সারা রাজ্যে মোট ৭৯৬টি সিপিসি খুলবে সরকার। তার মধ্যে ১৭৮টি হবে মোবাইল। প্রত্যন্ত এলাকার গ্রামের মধ্যে গাড়িতে এই মোবাইল সিপিসিগুলি কাজ করবে। গতবারের তুলনায় এবার সিপিসির সংখ্যা শ’দুই বেড়েছে। পূর্ব বর্ধমানে সর্বাধিক ধান উৎপাদন হয়। তাই সেখানে সিপিসি চালু করা হচ্ছে ৭৭টি—রাজ্যের মধ্যে কোনও জেলার জন্য এটাই সবচেয়ে বেশি সংখ্যক সিপিসি। সিপিসিগুলিতে সপ্তাহে ছ’দিন ধান কেনা হয়। এখানে ধান বেচলে প্রতি কুইন্টালে এমএসপির অতিরিক্ত ২০ টাকা ‘বোনাস’ মেলে।
মোবাইল-সহ প্রতিটি সিপিসিতে পরিকাঠামো গড়ে তুলতে ২০ হাজার টাকা হারে বরাদ্দ করা হয়েছে। সিপিসিগুলি সম্পর্কে সব চাষিকে জানাতে প্রচার অভিযানে সিপিসি পিছু ১৫ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে। ধান বিক্রয়ের প্রক্রিয়াটি কীভাবে সম্পন্ন হবে, তা পরিষ্কার করা থাকবে প্রচারের পোস্টার ও ব্যানারে। সিপিসিগুলিতে পানীয় জল, শৌচাগার, শেড প্রভৃতি থাকা বাধ্যতামূলক।
এদিকে ধান কেনার প্রক্রিয়া স্বচ্ছ ও সরকারি নিয়মানুগ করার উপর জোর দেওয়া হয়েছে। এই কাজে দায়িত্বসহকারে নজরদারি চালাতে হবে জেলাভিত্তিক অফিসারদের। এজন্য দায়িত্ব ও জেলা নির্দিষ্ট করে আইএএস, ডব্লুবিসিএস-সহ কয়েকটি ক্যাডারের মোট ২০ জন অফিসারের তালিকা তৈরি করে দেওয়া হয়েছে। তাঁদের জন্য ১৪ দফা কাজের দায়িত্ব নির্দিষ্ট করে দিয়েছে খাদ্যদপ্তর। অক্টোবরের মধ্যে নির্দিষ্ট সময়ে তিনদফায় আগাম পরিদর্শন করবেন তাঁরা। তারপর রিপোর্ট দিতে হবে দপ্তরের কাছে। ধান কেনা শুরু হলে জানুয়ারি পর্যন্ত স্থায়ী ও অস্থায়ী ধান ক্রয় কেন্দ্রগুলিতে মাসে অন্তত দুটি করে পরিদর্শন চলবে। পরের মাসগুলিতে পরিদর্শন করতে হবে মাসে অন্তত একবার। কিছু ক্ষেত্রে পরিদর্শন করতে হবে আচমকাও।