এনসিটিইর কাছে শংসাপত্র জমা দেওয়া নিয়ে বিপাকে ১২৮০টি ডিএলএড এবং বিএড কলেজ
বর্তমান | ০২ অক্টোবর ২০২৪
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: রাজ্যের ডিএলএড এবং বিএড কলেজগুলি চালিয়ে যেতে গেলে অতি অবশ্যই কেন্দ্রীয় নিয়ামক সংস্থা এনসিটিইকে জমা দিতে হবে পারফরম্যান্স অ্যাপ্রাইজাল রিপোর্ট (পার)। ৯ নভেম্বর এর শেষ দিন বলে জানিয়েছে এনসিটিই। তবে, রাজ্যের প্রায় ১২৮০টি ডিএলএড এবং বিএড কলেজ পড়েছে বিপাকে। এই রিপোর্টের অন্যতম আবশ্যিক নথি হল, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ এবং বাবা সাহেব আম্বেদকর এডুকেশন ইউনিভার্সিটির শংসাপত্র। পুজোর ছুটি পড়ে যাচ্ছে। তার আগে বা পরে কীভাবে এত কলেজ সেই শংসাপত্র সংগ্রহ করবে, তা নিয়েই আশঙ্কায় পড়েছে তারা।
এই শংসাপত্রে অনুমোদন প্রদানকারী সংস্থা পর্ষদ এবং বিশ্ববিদ্যালয় শংসাপত্র দিয়ে জানাবে, সংশ্লিষ্ট কলেজ আগাগোড়া এনসিটিইর নিয়ম মেনে চলেছে। এনসিটিই সময়ে সময়ে যেসব নিয়মে পরিবর্তন এনেছে, তাও মেনেছে কলেজগুলি। এই শংসাপত্র ‘পার’-এর সঙ্গে থাকলেই কলেজগুলি চালিয়ে যাওয়ার অনুমতি মিলবে। এই অবস্থায় কলেজগুলির সংগঠন ইউনাইটেড ফোরামের অধীন সেলফ ইউনাইটেড কলেজ ফোরাম অ্যাসোসিয়েশন বিশ্ববিদ্যালয় এবং পর্ষদকে দ্রুত এই শংসাপত্র দেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে চিঠি পাঠিয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে শংসাপত্র দেবেন রেজিস্ট্রার মৈত্রেয়ী ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, আমরা অনুমোদন সংক্রান্ত কাজকর্ম, পরীক্ষা পরিচালনা এবং পড়ুয়া ভর্তি নিয়ে ব্যস্ত। কলেজগুলিকে বলেছি আবেদন করতে। ধাপে ধাপে সেই শংসাপত্র দেওয়া হবে। এদিকে, পর্ষদের তরফে সেই শংসাপত্র দেওয়া হবে সচিব রঞ্জনকুমার ঝাঁয়ের মাধ্যমে। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, শংসাপত্রের কথা শুনেছি। তবে, এনসিটিই-র কাছ থেকে কোনও চিঠি পাইনি। বিষয়টি খতিয়ে দেখছি। ইউনাইটেড ফোরামের সভাপতি তপন বেরা বলেন, আমরা বিষয়টি নিয়ে খুবই উদ্বিগ্ন। এর সঙ্গে কলেজগুলির ভবিষ্যৎ জড়িয়ে রয়েছে। আমাদের দাবি, ফাঁকা আসনগুলি পূরণের জন্য ফের আবেদনের পোর্টাল খুলুক পর্ষদ। এই দাবিও চিঠিতে উল্লিখিত রয়েছে। প্রসঙ্গত, ৩ অক্টোবর পরবর্তী ধাপের জন্য অ্যাডমিশন পোর্টাল খুলছে বিশ্ববিদ্যালয়।