সংবাদদাতা, উলুবেড়িয়া: সোমবার দুপুরে শেখ আরিফ আর রাতে শেখ আব্দুল হালিমের মৃত্যুর খবর এসে পৌঁছনোয় শোকে মুহ্যমান উলুবেড়িয়ার ফতেপুর রথতলা। দিন কয়েক আগে এই এলাকায় বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় চারজন জখম হয়েছিল। তার মধ্যেই ছিল আরিফ ও হালিম।
মঙ্গলবার দুপুরে মৃত আব্দুল হালিমের বাড়ি যাওয়ার দেখা গেল, রাস্তায় বিভিন্ন জায়গায় ছোটখাট জটলা। টালির চালের একচিলতে বাড়ির সামনে তিন সন্তান ও শাশুড়ি হালিমা বেগমকে নিয়ে বসে রয়েছেন স্ত্রী হাদিশা বেগম। সোমবার রাতেই বাড়ির একমাত্র রোজগেরে সদস্যের মৃত্যু সংবাদ পেয়েছেন তাঁরা। মা হালিমা বেগম বলেন, এই ক’দিন হাসপাতাল-বাড়ি করেছি। সোমবার রাতে হাসপাতাল থেকে বাড়িতে ফিরেছিলাম আয়াদের জন্য টাকা নিতে। মাঝপথেই শুনি আব্দুল আর নেই। ওর মৃত্যু মেনে নেওয়া যাচ্ছে না। হালিমের ঘরের কাছেই আরিফের বাড়ি। সেখানে গিয়ে দেখা গেল, সামনের অংশে সারি দিয়ে রাখা রয়েছে চেয়ার। দেহ তখনও আসেনি। পাড়ার লোকজন দল বেঁধে হাসপাতালে গিয়েছে অষ্টম শ্রেণির পড়ুয়া আরিফের মৃতদেহ আনতে।
ফতেপুর রথতলায় কয়েকদিন আগে বোমা বিস্ফোরণ নিয়ে গ্রামের দু’-একজন মহিলা কথা বললেও এদিন মুখে কুলুপ এঁটেছেন তাঁরা। বিস্ফোরণস্থলে গিয়ে দেখা গেল, অকুস্থলের পাশে একটি বাড়িতে এক সিভিক ভলান্টিয়ার পাহারায় বসে রয়েছেন। ওই বাড়ির গৃহবধূ জোৎস্না খাতুন বলেন, ঘটনার পরেরদিন থেকেই পুলিসের নির্দেশে আমরা বাড়ির বাইরে রয়েছি। কিছু জিনিস নিতে এদিন এসেছিলাম, আবার চলে যাব। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক গ্রামবাসী বলেন, এতদিন টিভিতে বা সংবাদপত্রের মাধ্যমে বোমা বিস্ফোরণে মৃত্যুর খবর জেনেছি। এবার নিজের এলাকায় দেখলাম। হাওড়া গ্রামীণ জেলা পুলিসের সুপার স্বাতী ভাঙ্গালিয়া বলেন, বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। ওই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।-নিজস্ব চিত্র