• ১৫০ কোটিতে বারাসতে বিদ্যুতের ৫টি সাবস্টেশন
    বর্তমান | ০২ অক্টোবর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, বারাসত: দিনে দিনে বিদ্যুতের চাহিদা বাড়ছে। বারাসত মহকুমায় এই বর্ধিত চাহিদা মেটাতে উদ্যোগী হল বিদ্যুৎ দপ্তর। এর জন্য মহকুমা এলাকায় তৈরি হবে নতুন পাঁচটি সাবস্টেশন। খরচ হবে প্রায় ১৫০ কোটি টাকা। চারটির কাজ চলছে। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে আরও একটি সাবস্টেশন তৈরির কাজ শুরু হয়ে যাবে। এর ফলে বারাসতের মানুষের বিদ্যুতের যাবতীয় চাহিদা পূরণ করা যাবে বলে আশাবাদী দপ্তর।


    বারাসত মহকুমায় মাঝেমধ্যেই লোডশেডিংয়ে নাকাল হতে হচ্ছে বাসিন্দাদের। দিন-রাতে কার্যত নিয়ম করে দফায় দফায় বিদ্যুৎ থাকছে না এলাকায়। এই ভ্যাপসা গরমের মধ্যে মানুষের দুর্ভোগ চরমে উঠেছে। সামনেই দুর্গাপুজো। উৎসবের দিনগুলিতে এভাবে লোডশেডিং চলতে থাকবে কি না, তা নিয়ে রীতিমতো দুশ্চিন্তায় রয়েছেন ভুক্তভোগী বাসিন্দারা। সব মিলিয়ে মানুষের ক্ষোভ বাড়ছে। এই আবহে আশার কথা শুনিয়েছে বিদ্যুৎ দপ্তর। দপ্তরের কর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গিয়েছে, বিভিন্ন কারণে বিদ্যুতের চাহিদা অনেক বেড়ে যাওয়ায় ট্রান্সফর্মারের উপর বাড়তি চাপ পড়ছে। যেমন, অনেক বাড়িতে দেখা যায়, একটি এসি চালানোর অনুমতি নিয়ে একাধিক এসি চালানো হচ্ছে। এসব কারণে আগে যেখানে প্রতিদিন ২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ প্রয়োজন হতো, সেই জায়গায় এখন প্রতিদিন প্রায় ৩৫০ মেগাওয়াটের বেশি বিদ্যুৎ প্রয়োজন হচ্ছে। ফলে সঙ্কট একটা থাকছেই। মাঝেমধ্যে বিদ্যুতের জোগান পর্যাপ্ত থাকলেও সঠিকভাবে তা বণ্টন হচ্ছে না। টানা লোডশেডিংয়ের পাশাপাশি অল্প সময়ের জন্য বিদ্যুৎ বিভ্রাট হচ্ছে বারাসত মহকুমার বিভিন্ন প্রান্তে। এই সমস্যার স্থায়ী সমাধান করতেই শুরু হয়েছে সাবস্টেশন নির্মাণের কাজ। দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, বারাসতের ফরচুন হাইট, ম্যাঙ্গোলিয়া, দোলতলা, রিজেন্ট ও আব্দালপুরে হবে এই পাওয়ার সাবস্টেশনগুলি। প্রতিটি সাবস্টেশনে থাকবে ২০ এমভিএ ট্রান্সফর্মার। দপ্তরের এক কর্তা বলেন, ‘এগুলি চালু হলে বারাসত শহরের পাশাপাশি সমগ্র মহকুমার মানুষ উপকৃত হবেন।’ বারাসত শহরের বাসিন্দা বিক্রম লাহা বলেন, ‘আগের বাম সরকারের তুলনায় বর্তমান সরকারের আমলে লোডশেডিং কিছুটা কম ছিল। কিন্তু এখন যে হারে লোডশেডিং হচ্ছে, তাতে তো বাম আমলকেও ছাড়িয়ে যাবে। গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা যেমন হচ্ছে, সেই সঙ্গে চাষের কাজেও ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে এর জন্য।’ দত্তপুকুরের শ্রেয়া ঘোষ বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে শুনছি, এই সমস্যা মিটবে। নতুন করে সাবস্টেশন হলে যদি সমস্যা মেটে, তাহলে তো ভালোই।’ মধ্যমগ্রাম পুরসভার বাসিন্দা শ্রাবণী ঘোষ বলেন, ‘আমরা চাই লোডশেডিংয়ের সমস্যার স্থায়ী সমাধান। কিন্তু তা আর হচ্ছে কই! সাবস্টেশন হলে ঝামেলা কমবে বলে শোনা যাচ্ছে। এটা যত দ্রুত চালু হবে, ততই ভালো।’
  • Link to this news (বর্তমান)