সংবাদদাতা, বারুইপুর: এটিএম প্রতারণার চক্র ফাঁস করল সোনারপুর থানা। যাঁরা এটিএম কাউন্টারে ঢুকে টাকা তুলতে গিয়ে সমস্যায় পড়েন এবং কিছু প্রবীণ ব্যক্তি প্রতারকদের টার্গেট। দুষ্কৃতীরা কৌশলে তাঁদের আসল কার্ড হাতিয়ে নিয়ে নকল কার্ড গছিয়ে দিত। আর এইভাবেই তারা দিনের পর দিন ‘শিকারের’ অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তুলে গিয়েছে বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে দু’জনকে গ্রেপ্তার করেছে সোনারপুর থানা। পুলিস জানিয়েছে, তাদের কাছ থেকে ৯২টি এটিএম কার্ড বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
মঙ্গলবার এক সাংবাদিক বৈঠকে বারুইপুরের পুলিস সুপার পলাশচন্দ্র ঢালি জানান, ধৃতরা এতদিনে কত টাকা আত্মসাৎ করেছে তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। সোনারপুর থানার পুলিসের একটি টিম রাজপুর-সোনারপুর পুরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ড এলাকা থেকে ওই দুষ্কৃতীদের পাকড়াও করেছে। ধৃতদের নাম রাজু বর্মন ও সমীর নস্কর। রাজু বারুইপুরের বাসিন্দা এবং সমীরের বাড়ি ভাঙড়ের চন্দনেশ্বর এলাকায়। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে দুটি মোবাইল ফোন। তাদের একটি গাড়িও বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিস।
কীভাবে কাজ করত এই চক্র? তদন্তে পুলিস জানতে পেরেছে, আগে থেকে ফাঁকা এটিএম দেখে সেখানে রেইকি করে আসত ওই দু’জন। তারপর সুযোগ বুঝে তাতে ঢুকে এক জায়গায় দাঁড়িয়ে পড়ত তারা। এরপর কেউ টাকা তুলতে গিয়ে সমস্যায় পড়লে শুরু হতো প্রতারকদের ‘অপারেশন’। হাতের কারসাজিতে মুহূর্তেই গ্রাহকের আসল কার্ড হাতিয়ে নিত তারা এবং তাদের ‘শিকারের’ হাতে গছিয়ে দিত একটি নকল কার্ড। সাহায্য করার নামে ইতিমধ্যেই অবশ্য সংশ্লিষ্ট কার্ডের পিন জেনে নিত প্রতারকরা।
পুলিস জানিয়েছে, এটিএম প্রতারণার এই চক্র সোনারপুর, বারুইপুর, নরেন্দ্রপুর প্রভৃতি এলাকায় সক্রিয়। তারা পাঁচবছর ধরে এই অপকর্ম করে চলেছে। ধৃতদের সঙ্গে আরও কারা জড়িত, তা জানতে বিশদ তদন্তে নেমেছে পুলিস। উদ্ধার হওয়া এটিএম কার্ডগুলি পুলিস ফেরাবে প্রকৃত গ্রাহকদের হাতে। -নিজস্ব চিত্র