পুজোয় ভিড় সামলাতে হাওড়া থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ফেরি
বর্তমান | ০২ অক্টোবর ২০২৪
নিজস্ব প্রতিনিধি, হাওড়া: শহরতলি ও মফস্সল থেকে আসা মানুষদের সুবিধায় পুজোর সময় অতিরিক্ত ভেসেল চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে হুগলি জলপথ পরিবহণ সমবায় সমিতি। একইসঙ্গে পুজোর চারদিন গভীর রাত পর্যন্ত পরিষেবা দেওয়ারও সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ভিড় সামলাতে থাকবে বাড়তি নিরাপত্তা।
বছরের অন্যান্য সময় হাওড়া স্টেশন সংলগ্ন হাওড়া ফেরিঘাট থেকে গোলাবাড়ি, আহিরীটোলা, শোভাবাজার হয়ে বাগবাজার ঘাট পর্যন্ত প্রতি আধঘণ্টা অন্তর দু’টি ভেসেল চালানো হয়। হাওড়া ঘাট থেকে বাবুঘাট পর্যন্ত প্রতি ১৫ মিনিট অন্তর চলে আরও দু’টি। পাশাপাশি হাওড়া ফেরিঘাট থেকে আর্মেনিয়ান ঘাট পর্যন্ত ১০ মিনিট অন্তর চলে। সকাল আটটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত ব্যস্ত সময়ে এই পাঁচটি ভেসেলের মাধ্যমে হাওড়া থেকে কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় হাজার হাজার যাত্রী চলাচল করে। তবে পুজোর সময় ভিড়ের এই ছবি বদলে যায়। হাওড়া, হুগলি ছাড়াও প্রতিবছর পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমানের কয়েক লক্ষ মানুষ প্রতিমা দর্শন করতে আসেন কলকাতায়। ভিড় সামাল দিতে পূর্ব রেল ও দক্ষিণ-পূর্ব রেল বাড়তি ট্রেন চালায়। হাওড়া স্টেশনে নেমে যাত্রীরা সমস্যায় পড়েন বলে অভিযোগ ওঠে। হাওড়া ব্রিজ থেকে শুরু হয় যানজট। ঘণ্টার পর ঘণ্টা নাকাল হতে হয় সাধারণ মানুষকে। সে কারণেই এ বছর সহজে গঙ্গা পার করতে অতিরিক্ত ভেসেল চালানোর পরিকল্পনা নিয়েছে হুগলি জলপথ পরিবহণ সমবায়। সমিতির চেয়ারম্যান রামচরণ মান্না বলেন, ‘পুজোর সময় হাওড়া-বাগবাজার রুটে ৩০ মিনিট অন্তর ভেসেল চালানো হবে। রাত গভীর হলেও ভিড় না কমা পর্যন্ত টানা ফেরি পরিষেবা পাবেন যাত্রীরা।’ যেহেতু হাওড়া থেকে বাগবাজার যাওয়ার জন্য সবথেকে বেশি যাত্রীর চাপ থাকবে, সে জন্য হাওড়া আর্মেনিয়ান রুটের ভেসেলটিকে এই রুটে এনে চালানো হবে। যদিও পুজোর সময় ফেরির ভাড়া বাড়বে কি না তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি। হুগলি জলপথ পরিবহণের অপারেশন সুপারভাইজার দীপক মণ্ডল বলেন, ‘লঞ্চ ঘাটের নিরাপত্তা বাড়াতে পুলিসের পাশাপাশি অতিরিক্ত জলসাথি কর্মী মোতায়েন থাকবে। প্রতিটি ভেসেলে বাড়তি লাইফ জ্যাকেট দেওয়া হবে। সেখানেও উদ্ধারকারী দলের সদস্য থাকবেন।’ পাশাপাশি ভিড়ের ফলে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে, সে জন্য লঞ্চে যাত্রী তোলা ও নামানোর জন্য দু’টি জেটি পৃথকভাবে ব্যবহার করা হবে। হুগলির বাসিন্দা পেশায় শিক্ষক অনির্বাণ মল্লিক বলেন, ‘পুজোর সময় হাওড়া স্টেশন থেকে উত্তর কলকাতা যাওয়ার ক্যাবও ঠিকঠাক মেলে না। অতিরিক্ত লঞ্চ চালালে খুব সহজেই বাগবাজার, আহিরীটোলার ঠাকুর দেখতে পৌঁছনো যাবে।’