বরাদ্দ করতে হবে বিপুল অর্থ। ফলে প্রতিটি পয়সার হিসাব রাখা বাধ্যতামূলক বলেই মনে করছে রাজ্য সরকার। আবাস যোজনার উপভোক্তা তালিকা ত্রুটিমুক্ত করতে এ বার আধিকারিকদের কার্যত দায়বদ্ধ করার পথে হাঁটল নবান্ন।
পঞ্চায়েতমন্ত্রী প্রদীপ মজুমদারের কথায়, “আমরা একেবারে ত্রুটিমুক্ত তালিকা তৈরি করতে চাই। তাতে যা করণীয় তা-ই করা হবে। আধিকারিকেরা আগেও তালিকা তৈরি বা সংশোধনের কাজ করেছেন। ফলে সম্পূর্ণ ত্রুটিমুক্ত তালিকা তৈরির দায়িত্ব তাঁদেরই।”
আবাসের তালিকা যাচাইয়ের কাজ শুরুর নির্দেশ দিয়েছে নবান্ন। এতে মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ প্রয়োজনীয় নির্দেশ ইতিমধ্যেই দিয়েছেন জেলা কর্তাদের। ১০০ শতাংশ ত্রুটিমুক্ত তালিকা তৈরিতে লিখিত ভাবে করণীয়ও স্থির করে দেওয়া হয়েছে। যাচাই দলে অন্য সরকারি আধিকারিকদের সঙ্গে থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ আধিকারিকদেরও সঙ্গে রাখার কথা রয়েছে। তালিকা ধরে ধরে উপভোক্তার বর্তমান ঠিকানায় গিয়ে ছবি-সহ প্রকল্প পাওয়ার যোগ্যতা যাচাই করতে হবে প্রত্যেককে। এ ক্ষেত্রে উপভোক্তার অভিযোগ জানানোর পথও খোলা রাখা হচ্ছে। মহকুমা, ব্লকস্তর হয়ে যাচাই পৌঁছবে জেলাশাসক স্তর পর্যন্ত। জেলাশাসকেরাও প্রয়োজনে আচমকা যাচাই করতে পারবেন। তাঁদের অনুমোদনের ভিত্তিতেই উপভোক্তাকে প্রথমে ৬০ হাজার ও পরের দুই কিস্তিতে ৪০ এবং ২০ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে।
সূত্রের দাবি, তালিকা তৈরি বা সংশোধনের ক্ষেত্রে বাইরের প্রভাব অগ্রাহ্য করার নির্দেশও জেলা কর্তাদের দেওয়া হয়েছে। ফলে তার পরেও তালিকায় ত্রুটি ধরা পড়লে সংশ্লিষ্ট আধিকারিককে জবাবদিহি করতে হবে। গোটা প্রক্রিয়া গ্রাম সভার বৈঠক ডেকে সেখানে জানিয়ে কার্যকর করা হবে।