• রাত দখলের কর্মসূচিতে ফের হামলা, আক্রান্ত মহিলারাও
    এই সময় | ০২ অক্টোবর ২০২৪
  • এই সময়: রাত দখলের কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে ফের গোলমালের অভিযোগ। শহরের উত্তর ও দক্ষিণ দু’প্রান্তেই আন্দোলনকারীদের উপর দুষ্কৃতীদের হামলার অভিযোগ উঠল। আরজি করের ধর্ষণ-খুনের ঘটনার প্রতিবাদে এবং ন্যায় বিচারের দাবিতে মঙ্গলবার রাতে ফের রাত দখলের কর্মসূচি নেওয়া হয়েছিল কলকাতা-সহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে।তার মধ্যে উত্তর কলকাতায় বাগবাজার এবং দক্ষিণে টালিগঞ্জে কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া অনেকের উপর হামলার অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগের তির রাজ্যের শাসকদলের অনুগামীদের বিরুদ্ধে। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। এর আগে ১৪ অগস্ট প্রথম রাত দখলের কর্মসূচির দিন আরজি কর হাসপাতালে ঢুকে ভাঙচুরের অভিযোগ ওঠে বহিরাগতদের বিরুদ্ধে। তারপরে একই ইস্যুতে আরও একদিন রাত দখলের কর্মসূচি ঘিরে হামলার অভিযোগ ওঠে কোচবিহারে।

    এ দিন বড় গোলমালের অভিযোগ উঠেছে টালিগঞ্জের করুণাময়ী মোড়ের কাছে। রাত দখলের কর্মসূচিতে শাঁখ, ঘণ্টা নিয়ে অংশ নিয়েছিলেন অনেকে। সেই কর্মসূচিতে ছিলেন মহিলারাও। অভিযোগ, আচমকাই একদল যুবক তাঁদের উপর চড়াও হন। ধাক্কাধাক্কির পাশাপাশি চলে মারধরও। আক্রান্ত হন বেশ কয়েকজন মহিলাও। কয়েকজন মহিলা গোলমালের ভিডিয়ো করতে গেলে মোবাইল মাটিতে ছুড়ে ভেঙে ফেলা হয় বলেও অভিযোগ।

    আন্দোলনকারী এক মহিলার অভিযোগ, ‘আমরা কেউ মিছিল থেকে রাজনৈতিক স্লোগান দিইনি। শুধুমাত্র নিগৃহীতার ন্যায় বিচারের দাবি করছিলাম। হঠাৎ একদল দুষ্কৃতী আমাদের উপর হামলা চালায়। চুলের মুঠি ধরে মাটিতে ফেলে বেধড়ক মারা হয়। বাদ যাননি প্রবীণ নাগরিকরাও। এমনকী, সামনে দাঁড়িয়ে থাকা পুলিশকর্মীদের কাছে সাহায্য চাইতে গেলেও তাঁরা এগিয়ে আসেননি।’

    হামলায় যাঁরা আক্রান্ত হয়েছেন, তাঁদের অভিযোগ, ১১৫ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলার রত্না শূরের অনুগামীরাই এই হামলা চালায়। যদিও সংবাদমাধ্যমকে রত্না জানান, আন্দোলনকারীরা রাস্তা আটকে বসেছিলেন। সাধারণ মানুষ ওঁদের সরে যেতে বলেন। তাঁরা সরতে রাজি না-হওয়ায় স্থানীয়রাই জোর করে তাঁদের সরিয়ে দেন। এর মধ্যে কোনও রাজনীতি নেই।

    আন্দোলনকারীদের দাবি, তাঁরা রাতে হরিদেবপুর থানায় লিখিত অভিযোগ জানান। থানার সামনে চলে বিক্ষোভও। অন্য দিকে, বাগবাজার বাটা মোড়ের কাছেও রাত দখল কর্মসূচিকে ঘিরে উত্তেজনা ছড়ায়। সেখানেও আন্দোলনকারীদের হুমকি, ধাক্কাধাক্কি করা হয় বলে অভিযোগ। যদিও পুলিশ দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
  • Link to this news (এই সময়)