বস্তারে ৭৫ দিন ধরে চলে দশেরা, তরোয়াল হাতে দাঁড়িয়ে থাকে 'ঐশ্বরিক' ক্ষমতাসম্পন্ন আদিবাসী মেয়ে
আজ তক | ০২ অক্টোবর ২০২৪
আকাশে টুকরো টুকরো সাদা-নীল মেঘেরা ভেলার মত ভেসে যাচ্ছে। রোদ্দুরের রঙ বদলে গেছে, হঠাৎ হঠাৎ ঝিরিঝিরি বৃষ্টি আর কয়েক মিনিট পরেই সোনালি রোদ্দুর, কখনও বা রোদ ও বৃষ্টির একত্রিত যুগলবন্দী। হাওয়ার গন্ধ বলে দিচ্ছে এসেছে শরৎ।
এমন কালে ভারতের দিকে দিকে মানুষের হৃদয় জুড়ে চলে উৎসব। কারণ সেই একই সময়ে পূর্ব ভারতে পালিত হয় দুর্গাপুজো, পশ্চিম ও মধ্য ভারতে নবরাত্রি আর উত্তর ভারতে দশেরা। জনজাতি অধ্যুষিত ছত্তিশগড়ের বস্তার অঞ্চলে মারিয়া, মুরিয়া,দুরুয়া,ভর্ত্রা প্রভৃতি জনজাতিদের মধ্যে সুদীর্ঘ পঁচাত্তর দিন ধরে পালিত হয় বস্তারের দশেরা উৎসব।
ভারতের অন্যান্য স্থানে যে দশেরা উৎসব পালিত হয় তার মূল উপজীব্য হল অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে শুভ শক্তির লড়াই ও অশুভ শক্তিকে পরাজিত করে শুভ শক্তির বিজয়। রাবনকে দহন করে রাম খারাপের বিরুদ্ধে ভালোর জয়কে সূচিত করেন। কিন্তু বস্তারের দশেরার সাথে রাম বা রাবণ কোনোভাবেই জড়িত নন। এই উৎসবটিতে জনজাতির মানুষেরা তাদের দেবী দন্তেশ্বরীর পুজো করেন। একই সঙ্গে এই উৎসবটি এখানকার আদিবাসিদের আদি দেবী, দেবী মাবলি ও তার বোনেদের একটি মন্ডলী হিসেবে পালিত হয়।
পনেরোশো শতকে ওয়ারাঙ্গালের কাকাতিয় রাজবংশের সঙ্গে আলাউদ্দিন খিলজির যুদ্ধ হয়। কাকাতিয় রাজপরিবার পালিয়ে যান বস্তারে এবং কাকাতিয় রাজা বস্তারের রাজা হরিশচন্দ্রকে হারিয়ে বস্তার জয় করেন। বস্তারের চতুর্থ কাকাতিয় শাসক রাজা পুরুষোত্তোম দেও পনেরোশো শতকের প্রথম দিকে এই দশেরা উৎসবটির সূচনা করেন। কথিত আছে যে রাজা পুরুষোত্তম দেও জগন্নাথ পুরীর পবিত্র মন্দিরগুলিতে গিয়েছিলেন। ফেরার সময় তিনি রথে আরোহণের ঐশ্বরিক অনুমতি নিয়ে 'রথ-পতি' হয়ে ফিরে আসেন। সেই দিন থেকে এই উৎসবের সূচনা হয়। উৎসবের দিনগুলিতে জগদলপুরের রাজা তার সমস্ত কাজ ফেলে পুরো সময় দন্তেশ্বরী মায়ের পুজো করেন।
বস্তার দশেরার প্রস্তুতি হিন্দু ক্যালেন্ডারের শ্রাবণ মাসের কৃষ্ণপক্ষে শুরু হয়, যা সাধারণতঃ জুলাইয়ের শেষের দিকে পড়ে এবং আশ্বিন মাসের শুক্লপক্ষের ১৩তম দিন পর্যন্ত চলে যেটি ইংরেজির অক্টোবর মাসে পড়ে। এই উৎসবের সবচেয়ে অসাধারণ একটি দিক হল এটি বস্তারের রাজ পরিবার দ্বারা সংগঠিত হয় ও বিভিন্ন সরকারি বিভাগ বা বেসরকারি সংগঠকদের দ্বারা আয়োজিত অন্যান্য উৎসবের মত নয়।
উজ্জ্বল ঐতিহ্যবাহী পোশাকে, নৃত্যগীত এবং ঢোল ও বিবিধ বাজনা সহযোগে জগদলপুরের রাস্তায় শত শত আদিবাসি মিছিল করে উৎসব উদযাপন করেন। একটি বিশাল দ্বি-স্তর বিশিষ্ট রথ বিশেষ ছুতরদের দ্বারা নির্মিত হয় দেবীর বাহন হিসেবে যা সুন্দরভাবে সজ্জিত এবং প্রায় চারশ জন লোক রাস্তায় সেই রথ টানেন। উৎসবের শেষ দশ দিনগুলিতে প্রচুর উপজাতীয় আচার পালন করা হয়। অবশেষে পুষ্প রথ পরিক্রমা এবং ভিতর বৃষ্টির মধ্যে দিয়ে হয় এই উদযাপনের সমাপ্তি৷
এই পবিত্র উৎসবে অংশ নিতে বস্তারের দূর দূর অঞ্চল থেকে আদিবাসিরা জেলাশহর জগদলপুরে আসেন। জগদলপুরের রাজবাড়ি সংলগ্ন দন্তেশ্বরী দেবীর মন্দিরে দেবীর পুজো অনুষ্ঠিত হয়। জগদলপুর থেকে প্রায় একশ কিলোমিটার দূরে সতীর দাঁত পড়েছিল বলে কথিত আছে এবং দন্তেয়ারা নামক সেই স্থানে নদীতীরে দন্তেশ্বরী দেবীর মূল মন্দির অবস্থিত, যেখানে পুজোর উদ্দেশ্যে রোজ শয়ে শয়ে মানুষ মন্দির দর্শন করেন। অনুষ্ঠানের পুরো দশদিন বস্তারের সম্মানিত রাজ পরিবার পূজা সেশনের ব্যবস্থা করেন যেখানে দেবী দন্তেশ্বরীর প্রাচীন অস্ত্রগুলিকে ঐশ্বরিক উপাদান হিসাবে বিবেচনা করা হয়। বস্তার দশেরার অন্তর্নিহিত বৈশিষ্ট্যগুলির মধ্যে একটি হল যে পুজোর দিনগুলিতে রাজ্যের নিয়ন্ত্রণ আনুষ্ঠানিকভাবে দেওয়ানের কাছে হস্তান্তর করা হয় জমিদার এবং অনুরূপ গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সাক্ষী হিসাবে রেখে।
কুনওয়ার বা হরিয়ালি অমাবস্যা দশেরার প্রথম দিন। প্রথম দিনের রাতে নিয়ন্ত্রণের প্রথাগত স্থানান্তর ঘটে। এই অনুষ্ঠানের একটি রহস্যময় বৈশিষ্ট্য হল যে, দেওয়ানের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করার আগে, আধ্যাত্মিক ক্ষমতার অধিকারী বলে বিশ্বাস করা একটি মেয়ের অনুমতি চাওয়া হয়। এই মেয়েটিকে কাঠের তলোয়ার হাতে যুদ্ধের মতো ভঙ্গিতে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। দশেরার দ্বিতীয় দিনকে বলা হয় প্রতিপদ যার পরে হয় আরতি ও সালামি। নবম দিনে, বস্তারের রাজা দেবী দন্তেশ্বরীকে স্বাগত জানান যিনি একটি পালকিতে চড়ে শহরের প্রবেশদ্বারে আসেন। উৎসবের দশম দিনটিকে দশেরা বলা হয় যেদিন রাজা একটি দরবার আয়োজন করেন যেখানে লোকেরা এসে তাদের অনুরোধ রাজার কাছে উপস্থাপিত করে। এছাড়াও দশেরার শেষ দিনে আরতি অনুষ্ঠিত হয়।
এই উৎসব উদযাপনের প্রস্তুতি অনেক দিন আগে থেকেই শুরু হয়। বেশ কয়েকমাস আগে থেকে রাজপরিবার, মন্দির- কমিটি ও জেলার বড় অফিসাররা বারবার বৈঠক করেন উৎসবের প্রস্তুতি নিয়ে। আগে থেকেই বিভিন্ন পরগণার মাঝিরা (কর্মকর্তারা) চাল, তৈলবীজ, নুন, তেল ও পশুদের সংগ্রহ করে রাখেন। নিশা যাত্রার আগে ছাগল বলি হয়, বিভিন্ন গ্রামের মোড়লেরা তাদের প্রত্যেকের গ্রাম থেকে একটি করে ছাগল রাজাকে দান করেন৷ উৎসবের খরচের জন্য টাকাপয়সাও সংগ্রহ করেন প্রত্যেক পরগণার নেতা বা মাঝিরা যাকে " বিশাখা পয়সা " বলা হয়।
দুই স্তর বিশিষ্ট রথ তৈরির কাজ শুরু হয় জুলাই মাসের হরিয়ালি অমাবস্যার দিনে। এ জন্য বেদা উমরগাঁও গ্রাম থেকে বিশেষ কাঠমিস্ত্রিরা আসেন। গ্র্যান্ড ফেস্টিভ্যালের প্রস্তুতির কাজটি অনেক লোকের দ্বারা পরিচালিত হয়, তাদের প্রত্যেকেরই পূর্ব-নির্দিষ্ট কাজ রয়েছে। স্তোত্র গাওয়া পোতানার গ্রামের মুন্ডাদের কাজ। রথটি প্রতি বছর সাওরা আদিবাসিরা তৈরি করে। রথ টানার দড়ি সরবরাহ করে থাকেন পারজা উপজাতির মানুষেরা। কাজটি ঢাকাদার তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হয়। রথের পূর্ব আচারগুলি খাকি জাতির মানুষরা পালন করেন।
কুনওয়ার বা হরিয়ালি অমাবস্যা দশেরার প্রথম দিন। প্রথম দিনের রাতে নিয়ন্ত্রণের প্রথাগত স্থানান্তর ঘটে। এই অনুষ্ঠানের একটি রহস্যময় বৈশিষ্ট্য হল যে, দেওয়ানের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করার আগে, আধ্যাত্মিক ক্ষমতার অধিকারী বলে বিশ্বাস করা একটি মেয়ের অনুমতি চাওয়া হয়। এই মেয়েটিকে কাঠের তলোয়ার হাতে যুদ্ধ করার মতো ভঙ্গিতে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। দশেরার দ্বিতীয় দিনকে বলা হয় প্রতিপদ যার পরে হয় আরতি ও সালামি। নবম দিনে, বস্তারের দেবী দন্তেশ্বরীকে আহ্বানের মাধ্যমে উৎসবের আচারগুলি শুরু হয়, তারপরে উপজাতিয় সর্দারদের সমাবেশ সহ একাধিক অনুষ্ঠান হয়, যা "কাছিঙ্গুদি" আচার নামে পরিচিত। বিশেষভাবে উল্লেখ্য একটি আচার হল "পাট যাত্রা" অনুষ্ঠান, যেখানে বস্তারের রাজা পবিত্র কাঠের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন যা শোভাযাত্রার জন্য রথ তৈরি করতে ব্যবহৃত হবে। আরও একটি আচারের নাম "জোগি বিথাই", যেখানে একজন পুরোহিত ন দিন ধরে একটি গর্তে ধ্যান করেন, এটি আরেকটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা, যা ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতার প্রতীক।
উৎসবের সময় বিভিন্ন আচার ও পূজা করা হয় যেগুলির মধ্যে কয়েকটি গুরুত্বপুর্ণ অনুষ্ঠান হল
পাট যাত্রাঃ এটি হল কাঠের পূজোর আচার। উৎসবটি শুরু হয় শ্রাবণ অমাবস্যায়, যাকে হরেলি অমাবস্যাও বলা হয়, যখন রথ তৈরির জন্য ব্যবহৃত কাঠের প্রথম খন্ডটি প্রাসাদ মন্দিরের সিংহদ্বারে বলিদানের রক্ত দিয়ে পবিত্র করা হয়।
কাচন গাদিঃ মিরগিন-মহারা বর্ণের একটি অল্পবয়সী মেয়েকে বর্ণ দেবতা কাচন দেবীর কাছ থেকে আশীর্বাদ পাওয়ার মাধ্যম বলে মনে করা হয়। তাকে কাঁটার বিছানায় দোলানোর জন্য তৈরি করা হয়েছে, তিনি একটি তলোয়ার তুলেছেন এবং রাজাকে উপহার দিয়েছেন, এটিকে অনুষ্ঠানের শুরুর সংকেত বলে ধরা হয়।
কলস স্থাপনঃ নবরাত্রির প্রথম দিনেই জগদলপুরের মাবলি, দন্তেশ্বরী এবং কঙ্কালিন দেবীর মন্দিরে পবিত্র কলস স্থাপন করা হয়।
যোগী বিথাইঃ এই দিনেই উৎসবের সাফল্যের জন্য বলিদান করা হয়। হালবা উপজাতির এক যুবককে সিরাসারে একটি গর্তে বসিয়ে কাঁধ পর্যন্ত কবর দেওয়া হয়। একটি ছাগল ও সাতটি মাগুর মাছও বলি দেওয়া হয়।
রথ পরিক্রমাঃ বলিদানের পরের দিন থেকে সন্ধ্যায় মাবলি মন্দির প্রদক্ষিণ করার জন্য একটি ফুল দিয়ে সজ্জিত চার চাকার রথ তৈরি করা হয়। এই প্রদক্ষিণ পরবর্তী সাত দিন ধরে চলে।
নিশা যাত্রাঃ এটি আলোর উৎসব, যখন আশ্বিন মাসের উজ্জ্বল চাঁদের অষ্টমী দিনে, উজ্জ্বল আলোয় আলোকিত একটি শোভাযাত্রা ইটওয়ারীর পূজা মণ্ডপ চত্বরে নিয়ে যাওয়া হয়।
যোগী উথাইঃ হালবা উপজাতির যুবকদের যাদের যোগী বিঠাইয়ের সিরাসারে বসার জন্য গর্ত তৈরি করা হয়েছিল তাদের গর্ত থেকে উঠানোর জন্য ব্যবস্থা করা হয়েছে। আশ্বিন মাসের নবমী তিথিতে এটি ঘটে।
মাবলি পারঘবঃ মাবলি যাকে দান্তেশ্বরীর বড় বোন বলে মনে করা হয় তাকে দান্তেওয়াড়া থেকে ডোলিতে আনা হয় জগদলপুরের দন্তেশ্বরীর প্রাসাদ-মন্দিরে। মাতা মাবলীকে দশেরা উৎসবের প্রধান অতিথি হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
ভিতর বৃষ্টিঃ আশ্বিন মাসের উজ্জ্বল চাঁদের দশম দিনে, চারটি চাকার রথ মাবলি মন্দিরের চারপাশে প্রদক্ষিণ করার জন্য তৈরি করা হয়। রাজগুরু, যিনি দেবী দন্তেশ্বরীর পবিত্র ছত্র ধারণ করেন, তিনি রথের উপরের স্তরে বসেন।
বাহার বৃষ্টিঃ উৎসবের আগে দেবীকে নিবেদন করা হয় নতুন ফসলের রান্না করা ধান। এরপর রথটিকে টেনে নিয়ে যাওয়া হয় রাজপ্রাসাদের সিংহ দরজায়। এরপর রথটি বাইরে রাস্তায় টানা হয়।
নয়াখানিঃ রথ - শোভাযাত্রা কুমদাকোটে পৌঁছায় যেখানে রাউত সম্প্রদায়ের পুরুষরা একটি ভোজ রান্না করেন।
কাচন যাত্রাঃ এটি হল ধন্যবাদ জ্ঞাপনের পর্ব।কাচন দেবীর কৃপায় উৎসব সফলভাবে সমাপ্ত হয়।
মুরিয়া দরবারঃ এটি হল উপজাতি প্রধানদের সম্মেলন যেখানে জনকল্যাণ সম্পর্কিত বিষয়গুলি নির্বাচিত প্রতিনিধি এবং প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের মধ্যে আলোচনা করা হয়। রাজা, রাজ্য ও জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা দরবার ভাগ করে নেন, আদপে এই জন-আদালতটি রাজার প্রজাদের সম্বোধন করার উদ্দেশ্যে তৈরি করা হয়েছিলো।
ওহাদিঃ দেবতাদের বিদায় এবং
উৎসবের শেষ দিনটি বিদায় দিয়ে চিহ্নিত করা হয়।
উৎসবগুলি স্থানীয় উপজাতিদের সংস্কৃতি দ্বারা অত্যন্ত প্রভাবিত। ভর্ত্রা আদিবাসীরা যারা রথের পথ তৈরি করে তারা ধনুক ও তীর নিয়ে সজ্জিত হয়ে থাকে। মিরগিন-মহারা বর্ণের একটি অল্পবয়সী মেয়েকে বর্ণ দেবতা কাচন দেবীর কাছ থেকে আশীর্বাদ পাওয়ার মাধ্যম বলে মনে করা হয়।
বস্তারের দশেরা উৎসবের এই জমকালো উদযাপন সেখানকার জনজাতি ও অধিবাসিদের অপরিসীম আনন্দ এবং উদ্দীপনার সাথে শেষ হয়। দশেরাতে শুধু জনজাতির মানুষেরাই নয়, বস্তারের সকল অধিবাসিরাই বর্ণ ও ধর্মের বৈষম্যের ঊর্ধ্বে উঠে হাতে হাত মিলিয়ে এই অনন্য উৎসবের সফল উদযাপন করে।
প্রতি বছর দশেরার সময় ভারতের দূর দূর থেকে শুধু নয়, সারা পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে বহু মানুষ বস্তারে আসেন দশেরা উৎসব দেখতে। বহু বছর আগে আমার একবার এই উৎসব দেখার সৌভাগ্য হয়েছিল। সেই অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি, আপনি যদি পৃথিবীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ ও দীর্ঘতম, জাঁকজমকপূর্ন এই উৎসবটি না দেখে থাকেন, তাহলে আপনি এক অভূতপূর্ব অভিজ্ঞতা থেকে বঞ্চিত হবেন।