এদিন সকালে ওই ছাত্রটি কোচিং সেন্টারে যাচ্ছিল। রাস্তায় কাজ করছিল একটি পে লোডার। সেইসময় ওই পে লোডারটি ধাক্কা মারে নবম শ্রেণির ওই পড়ুয়াকে। ধাক্কা খেয়ে সে চাকায় পড়ে যায়। ওই ঘটনার পর এলাকায় তুমুল উত্তেজনা তৈরি হয়।
খবর পেয়ে ছুটে আসে পুলিস। তাদের আটকে রাখে বিক্ষুব্ধ জনতা। তাদের দাবি কেন, এলাকার কাউন্সিলর এলাকায় আসেনি। দিনের পর দিন রাস্তা আটকে রাখে এই ধরেন জেসিবি গাড়ি। পুলিসকে ধরে রেখেছি। ওদের বলেছি কাউন্সিলরকে এলাকায় আসতে হবে। তা নাহলে ওদের ছাড়া হবে না।
স্থানীয়দের দাবি, গত ১০ বছর ধরে এলাকার রাস্তা খারাপ। কোনওভাবে মেরামতি করা হয়নি। পুজোর মুখে মেরামতির জন্য নামানো হয়েছে পে লোডার। এর জন্য এলাকার মানুষের প্রবল সমস্যা হচ্ছে। আর সেই পে লোডারের ধাক্কাতেই প্রাণ গেল এক ছাত্রের। এতবর ঘটনার পর স্থানীয় কাউন্সিলরের কোনও পাত্তা নেই। যতক্ষণ না তিনি আসবেন ততক্ষণ পুলিসকে ছাড়া হবে না। রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে ছিল ওই ছাত্র। তাকে পিষে দেয় ওই পে লোডার।
সময় যত গড়ায় ততই তেতে উঠে পরিস্তিতি। বিক্ষুব্ধ জনতার হাত থেকে পুলিস আধিকারিকদের মুক্ত করতে পৌঁছে য়ায় পুলিসের বিশাল বাহিনী। তাদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি শুরু হয় বিক্ষোভকারীদের। মারমুখী হয়ে ওঠে জনতা। তাদের সরানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয় পুলিস। শেষপর্যন্ত ৩ ঘণ্টা পর ঘোরাওমুক্ত হন ওসি।