সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মহালয়ার সকাল থেকেই উত্তপ্ত বাঁশদ্রোণী। দুর্ঘটনায় স্কুল পড়ুয়ার মৃত্যু ঘিরে ধুন্ধুমার। পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় বাসিন্দারা। এমনকী, তাদের মারধরের অভিযোগ উঠেছে। ভাঙচুর করা হয়েছে রাস্তা সারাইয়ের জন্য রাখা পে-লোডার-সহ একাধিক যন্ত্রপাতি। স্থানীয়দের দাবি, তৃণমূল কাউন্সিলর, বিধায়ককে আসতে হবে। তবেই বিক্ষোভ উঠবে। বিকেল পর্যন্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসেনি। পাটুলি থানার ওসিকে কাদায় দাঁড় করিয়ে রাখা হয়। এসিপি গেলেও তাঁকে ঘিরে চলে বিক্ষোভ। এর পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে পৌঁছন এসএসডি (ডিসি) বিদিশা কলিতা। তাঁকেও ঘিরে বিক্ষোভ চলে। চলছে ধরপাকড়।
নবম শ্রেণির সৌম্য শীল সাইকেল নিয়ে পড়তে যাচ্ছিল ওই পড়ুয়া। পিছন থেকে আসা একটি জেসিবিকে যাওয়ার জন্য রাস্তা ছেড়ে পাশে দাঁড়ায়। দীনেশ নগর অটো স্ট্যান্ডের সামনে একটি গাছের গোড়ায় সাইকেল নিয়ে দাঁড়িয়েছিল সে। পে লোডার বা জেসিবিটি যাওয়ার সময় পড়ুয়াকে ধাক্কা মারে। গুরুতর জখম অবস্থায় রাস্তাতেই লুটিয়ে পড়ে সে। তড়িঘড়ি উদ্ধার করে বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে নবম শ্রেণির পড়ুয়াকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বাঁশদ্রোণী।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, গত ১৫ বছর ধরে বেহাল দশা রাস্তার। কখনও অর্ধেক কাজ হয়। সব টাকা নিয়ে চম্পট দেয় ঠিকাদাররা। কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তাঁরা। দুর্ঘটনার খবর পাওয়ার দীর্ঘসময় পর পুলিশ আসায় ক্ষোভ আরও চরমে ওঠে। ভাঙচুর হয় গাড়িতে। পুলিশকে আটকে রেখে চলে বিক্ষোভ। তাড়া করা হয় পুলিশ কর্মীদের। এমনকী, স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বকেও মারধর করা হয়। পালিয়ে প্রাণে বাঁচেন তাঁরা। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, কাউন্সিলর ঘটনাস্থলে আসেননি। এলাকাবাসীর দাবি, বেহাল রাস্তার কথা বার বার কাউন্সিলরকে জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি।
১১৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অনীতা কর মজুমদার জানান, “খুবই দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। রাস্তা সারাইয়ের জন্য পে লোডার রাখা ছিল। তাতে ধাক্কা লেগেই হয়েছে।” বেহাল রাস্তা নিয়ে কাউন্সিলরের দাবি, “এটা একটা বড় প্রোজেক্ট। কাজ শেষ হতে সময় লাগবে।”