সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: উৎসবের মরশুম কাটলেই শুরু হবে সাংগঠনিক নির্বাচন। তার আগেই দলের অভ্যন্তরে গোষ্ঠীকোন্দল কাটিয়ে এক হয়ে কাজ করতে হবে। দলের ভেতরে পদ নিয়ে খেয়োখেয়ি চলবে না। রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ও বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে সতর্ক করে দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা।
মঙ্গলবার বঙ্গ শিবিরে দুই প্রান্তে থাকা এই দুই নেতার সঙ্গে বৈঠক করে শীর্ষনেতৃত্ব। সাংগঠনিক নির্বাচনের প্রস্তুতির পাশাপাশি আর জি করকে কেন্দ্র করে কীভাবে আন্দোলন আরও তীব্র করা যায় তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। জে পি নাড্ডা ও সুকান্ত মজুমদার দু’জনেই এবার মোদি মন্ত্রিসভায় জায়গা পেয়েছেন। সভাপতি দু’জনকেই দলের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নিতে হবে। সে ক্ষেত্রে সাংগঠনিক নির্বাচন করে তবেই নয়া সর্বভারতীয় সভাপতি ও বঙ্গ সভাপতি নির্বাচিত হবেন। তারই প্রস্তুতি বৈঠকে গোষ্ঠীকোন্দল নিয়ে দলের শীর্ষনেতৃত্বের কাছে কার্যত ধমক খেলেন শুভেন্দু ও সুকান্ত।
গেরুয়া শিবিরে কান পাতলেই শোনা যায় একের পর এক লবিতে ভাগ হয়ে গিয়েছে বঙ্গ বিজেপি। সুকান্ত-শুভেন্দু-দিলীপ এমন নানা গোষ্ঠী মেতে উঠেছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে নম্বর বাড়ানোর খেলায়। যার জেরে একে অপরকে কোনঠাসা করতেও পিছু পা হচ্ছে তারা। সার্বিকভাবে তার কুপ্রভাব পড়ছে সংগঠনে। লড়াই করার মতো একাধিক ইস্যু রয়েছে বাংলায়, অথচ দলের কোন্দলের জেরে কিছুই করে উঠতে পারছে না বিজেপি। এমনকি সাধারণ মানুষের থেকেও ক্রমশ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছেন নেতারা।
পরিস্থিতি সামাল দিতে এর আগেও একাধিকবার বিজেপি নেতাদের সতর্ক করেছেন কেন্দ্রীয় নেতারা। তাতে সাময়িকভাবে ‘একে অপরের পাশে আছি’ দেখানোর চেষ্টা হলেও কিছু দিনের মধ্যে ফের একই অবস্থা ফিরে এসেছে। সম্প্রতি আর জি কর ইস্যুতে দল একজোট হয়ে আন্দোলনে নামলেও একতা ঘুঁচেছে অল্প দিনেই। জুনিয়র ডাক্তারদের বিরুদ্ধেই আক্রমণ শানাতে দেখা গিয়েছে দিলীপ-সহ একাধিক নেতাকে। বঙ্গ বিজেপির এমন ছন্নছাড়া দশার মাঝেই শুভেন্দু -সুকান্তদের দ্বন্দ্ব মেটানোর বার্তা শাহের।