বোনাসের দাবিতে ফের আন্দোলনে চা-বাগান শ্রমিকরা, অবরুদ্ধ শৈল শহর
এই সময় | ০২ অক্টোবর ২০২৪
সোমবার ১২ ঘণ্টার বন্ধের ডাক দিয়েছিল পাহাড়ের চা বাগান শ্রমিকদের সংগঠনগুলি। বোনাসের দাবি না মেটায় বুধবার সকাল থেকে ফের আন্দোলনে সামিল চা শ্রমিকরা। আন্দোলনের জেরে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে শৈল শহর। বুধবার দার্জিলিং স্টেশন থেকে চক বাজার পর্যন্ত মিছিল করা হয়। চক বাজারে সমাবেশও করা হয় শ্রমিকদের তরফে।বুধবার সকাল ১১টা থেকে শ্রমিকেরা জমায়েত শুরু করেন। রাস্তায় বসেও বিক্ষোভ কর্মসূচি চলে। মিছিল শুরু হতেই অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে শহর। বিভিন্ন জায়গা থেকে কয়েকশো চা-বাগান শ্রমিক আন্দোলনে যোগ দেন। দাবি না মিটলে লাগাতার আন্দোলন চলবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন চা বাগানের শ্রমিক সংগঠনগুলির যৌথ মঞ্চ।
সিটু নেতা সমন পাঠক জানান, শ্রমিকদের বোনাসের দাবি নায্য। অথচ সেই বোনাস দিতে নারাজ চা-বাগান মালিক কর্তৃপক্ষরা। মঙ্গলবারের বৈঠকেও সেই দাবি পূরণ হয়নি। এ দিকে, শ্রমিকদের দাবির পাশে দাঁড়িয়েছে ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চা, হামরো পার্টির মতো পাহাড়ের আঞ্চলিক দলগুলি। যদিও, ইতিমধ্যে পাহাড়ের চা-বাগান শ্রমিকদের জন্য বোনাস সংক্রান্ত নির্দেশিকা জারি করেছে রাজ্য সরকার। রাজ্যের অতিরিক্ত শ্রম কমিশনারের জারি করা নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, দার্জিলিং, কার্শিয়াং এবং কালিম্পঙের চা বাগানগুলিতে শ্রমিকদের ১৬ শতাংশ হারে বোনাস দিতে হবে। বুধবারের মধ্যে সেই বোনাস দিতে হবে বলে জানানো হয়।
বুধবার শ্রমিকদের মিছিলে যোগ দিতে দেখা যায় হামরো পার্টির প্রধান অজয় এডওয়ার্ডকেও। তিনি বলেন, ‘শ্রমিকেরা সারা বছর ধরে কাজ করে। পুজোর আগে এসে তাঁদের দাবি অনুযায়ী বোনাস দিতে চাইছেন না চা বাগান কর্তৃপক্ষরা। শ্রমিকদের দাবি না মেটা পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।’ উল্লেখ্য, মঙ্গলবারও শিলিগুড়িতে পাহাড়ের চা বাগানের বোনাস নিয়ে শিলিগুড়িতে আলোচনায় বসা হয়। দাগাপুরে শ্রমিক ভবনে কয়েক ঘণ্টা ধরে চলে বোনাস নিয়ে বৈঠক।
তবে, শ্রমিক সংগঠনগুলির দাবি মতো ২০ শতাংশ বোনাস দিয়ে নারাজ মালিক কর্তৃপক্ষ। যে কারণে আজ দার্জিলিঙে আন্দোলনের ডাক দেওয়া হয়। পুজোর আগে যখন দার্জিলিং শহরে পর্যটকদের ঢল নামতে শুরু করেছে, তখন এই আন্দোলনের জেরে পর্যটনেও প্রভাব পড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।