মহালয়ার দিন আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নির্যাতিতা তরুণীর প্রতীকী মূর্তি বসল। আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে হাসপাতালের প্ল্যাটিনাম জুবিলি হলের সামনে বসানো হল নির্যাতিতার মূর্তি। মহালয়ায় দেবীপক্ষের সূচনা পর্বের দিনটিকেই মূর্তি স্থাপনের জন্য বেছে নেওয়া হয়। জুনিয়র চিকিৎসকদের সিদ্ধান্তেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। মূর্তি উন্মোচনের পাশাপাশি পথ নাটিকার মধ্যে দিয়ে আরজি করের ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছেন আন্দোলনকারী চিকিৎসকেরা।এই প্রতীকী মূর্তিটিকে ‘অভয়া’-র স্মরণে যে তৈরি করা হয়েছে তার উল্লেখ করা হয়েছে। এক নারীর যন্ত্রণার অভিব্যক্তি ফুটিয়ে তোলা হয়েছে আবক্ষ মূর্তিটিতে। জুনিয়র ডাক্তারদের গণ কনভেনশনে পাশ হওয়া প্রস্তাব অনুযায়ী নিহত চিকিৎসক-পড়ুয়ার মূর্তি বসানো হয়েছে। এই মূর্তি তৈরি করছেন শিল্পী অসিত সাঁই। বিনা পারিশ্রমিকে ফাইবার গ্লাসের এই মূর্তিটি তৈরি করেছেন তিনি। এদিন সকাল ১১ টা নাগাদ মূর্তি উন্মোচিত হয়। স্বাস্থ্য ভবনের অদূরে অবস্থান-বিক্ষোভের সময়েই জুনিয়র ডাক্তারেরা প্রতীকী মূর্তি উন্মোচনের কথা ঘোষণা করেছিলেন।
গত ৯ অগস্ট আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে তরুণী চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার হয়েছিল। ঘটনার তদন্তে নেমে কলকাতা পুলিশ ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই এক সিভিক ভলান্টিয়ারকে গ্রেপ্তার করেছিল। তারপরে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে তদন্ত ভার যায় সিবিআইয়ের হাতে। পরে কেন্দ্রীয় সংস্থা গ্রেফতার করে হাসপাতালের তৎকালীন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ এবং টালা থানার তৎকালীন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলকে। তাঁদের বিরুদ্ধে তথ্যপ্রমাণ লোপাটের অভিযোগ রয়েছে। ঘটনার তদন্ত করছে সিবিআই।
এই মূর্তি উন্মোচন প্রসঙ্গে কুণাল ঘোষ এক্স হ্যান্ডলে লিখেছেন, ‘তিলোত্তমার নামে এই মূর্তিটি বসানো সুপ্রিম কোর্টের বক্তব্যের স্পিরিটের পরিপন্থী। কোনও দায়িত্বশীল ব্যক্তি এটা করতে পারেন না। শিল্পের নামেও না। প্রতিবাদ, ন্যায়বিচারের দাবি থাকবেই। কিন্তু মেয়েটির যন্ত্রণার মুখ দিয়ে মূর্তি গড়া ঠিক নয়। নিগৃহীতার ছবি, মূর্তি, নাম ব্যবহারের গাইডলাইন আছে।’