মহালয়ার সকালে আরজি কর হাসপাতাল চত্বরে উন্মোচিত হল নির্যাতিতা চিকিৎসকের স্মরণে গড়ে তোলা প্রতীকী মূর্তি। মূর্তিটি গতকালই স্থাপন করা হয়েছিল হাসপাতাল চত্বরে। আজ সকালে সেটিকে আনুষ্ঠানিক ভাবে উন্মোচিত করা হয়। সেই সময় একটি পথ নাটিকার উপস্থাপন করা হয়। উল্লেখ্য, এর আগে স্বাস্থ্য ভবনের সামনে ধরনা চালাকীলনই চিকিৎসকরা ঘোষণা করেছিলেন যে আরজি কর হাসপাতালে নির্যাতিতার স্মরণে একটি প্রতীকী মূর্তি বসানো হবে। সেই মতো বুধবার সকাল ১১টা নাগাদ মূর্তি উন্মোচিত হয়।
রিপোর্ট অনুযায়ী, আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল চত্বরের প্ল্যাটিনাম জুবিলি হলের সামনের ফাঁকা জায়গায় ওই প্রতীকী মূর্তি বসানো হয়েছে। মূর্তিটি ফাইবারের তৈরি বলে জানানো হয়েছে। এদিকে নির্যাতিতা চিকিৎসকের সঙ্গে এই মূর্তির চেহারার কোনও সাদৃশ্য রাখা হয়নি। মূর্তিটিতে যন্ত্রণার অভিব্যক্তি ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, ভাস্কর অসিত সাঁই বিনা পারিশ্রমিকে ফাইবার গ্লাসের এই মূর্তিটি তৈরি করেছেন।
এদিকে দেবীপক্ষের শুরুতে উৎসবের আবহে আরজি কর কাণ্ডের রেশ জারি থাকল। গতকাল বহু জায়গায় রাতদখল হয়েছে। আর দেবীপক্ষের সূচনায় ভোর দখল হয়েছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, আজ মহালয়ার ভোরে ডায়মন্ড হারবার রোডের ধারে বেহালা থানার উল্টো দিকে প্রতিবাদে সামিল হয়েছিলেন সাধারণ মানুষ। সেখানে পথ নাটিকা করতে দেখা যায় জোকা ইএসআইয়ের জুনিয়র ডাক্তারদের। এদিকে রুবির মোড়ে রাত-ভোর দখল করা হয় আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে। সেখানে রাস্তায় ছবি আঁকা হয়। বিচারের দাবিতে ওঠে স্লোগান।
এদিকে মহালয়ার তিথিতে ভোরবেলা গণতর্পণ করতে দেখা যায় বাঁকুড়া শহর লাগোয়া গন্ধেশ্বরী নদীর সতীঘাটে। আরজি করে খুন হওয়া চিকিৎসকের আত্মার শান্তি কামনা করা হয় সেখানে। শ্রীরামপুর তিন নম্বর ঘাট সংলগ্ন এলাকায় আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে মিছিল হয়। মেদিনীপুর শহরে রাত দখল কর দেখা গিয়েছিল সাধারণ মানষকে। সেখানে ভোররাতে হাজির হন ভারতের যুব ফেডারেশন রাজ্য সম্পাদিকা মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়ও। অপরদিকে অরজি করে চিকিৎসক ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার প্রতিবাদে গণতর্পন হয় বীরভূমে। সেখানে সিউড়ির ময়ূরাক্ষী নদির তিলপাড়া জলাধার ঘাটে হাজির হন বিজেপি নেতা কর্মীরা। সেখানে ছিলেন বিজেপির বীরভূম সাংগঠনিক জেলার সভাপতি ধ্রুব সাহা, বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় সহ আরও অনেকে। দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটে আজ ভোরে মিছিল বেরিয়েছিল আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে।