ঘটনাটি ঠিক কী? সামনেই উৎসব। মানুষ এবার সেই উৎসবেই মাতবেন। কিন্তু সবাই কি ভুলে যাবেন অভয়াকে? আরজি করের নির্যাতিতাকে? তাঁর আত্মত্যাগকে, লড়াইকে, যন্ত্রণাকে? কলকাতায় ফের আন্দোলনে জুনিয়র ডাক্তাররা। আজ, মহালয়ার দিনে কলেজ স্কোয়ার থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত মহামিছিল করলেন তাঁরা। তারপর ধর্মতলায় মহাসমাবেশ।
এদিকে , সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজে ডাক্তার ও নার্সদের উপর হামলার ফের কর্মবিরতি শুরু করেন জুনিয়র ডাক্তাররা। ধর্মতলার সমাবেশে আন্দোলনকারীরা বলেন, 'রোগী, ডাক্তার একপক্ষ। উল্টো পাশে সরকার পক্ষ। সিবিআই দায়িত্ব নেওয়ার পর কত কেস অমীমাংসিত! আন্দোলন না চালালে সেটিং হয়ে যাবে'। সঙ্গে হুঁশিয়ারি, প্রয়োজন হলে দিল্লি যাব। সুপ্রিম কোর্ট যেন মনে রাখে আমাদের দমিয়ে রাখা যাবে না'।
এর আগে, সুপ্রিম কোর্টে যেদিন আরজি কর মামলা শুনানি হয়, সেদিন কার্যত ভর্ৎসনার মুখে পড়েন জুনিয়র ডাক্তাররা। সুপ্রিম কোর্টে জুনিয়র ডাক্তারদের হয়ে মামলা লড়ছেন ইন্দিরা জয়সিংহ। শুনানিতে তাঁর কাছে প্রধান ডিওয়াই চন্দ্রচূড় জানতে চান, 'ডাক্তাররা কি কাজে যোগ দিয়েছেন?' জবাবে ইন্দিরা বলেন, 'হ্যাঁ জুনিয়র ডাক্তাররা সবাই ইমার্জেন্সি সার্ভিসে যোগ দিয়েছেন'। প্রধান বিচারপতি পাল্টা মন্তব্য. 'আপনি আমার কথার উত্তর দিন। আমার কথা পরিষ্কার। ডাক্তাররা কি ওপিডি ও আইপিডি সার্ভিসে যোগ দিয়েছেন'? জুনিয়র ডাক্তারদের আইনজীবী বলেন, 'হ্যাঁ, সবই তো ইমার্জেন্সি সার্ভিসের মধ্যে পড়ে'।
এই জবাবে সন্তুষ্ট হননি সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি। ফের বলেন, 'আমি ওপি়ডি ও আইপিডি সার্ভিসের কথা বলছি'। এরপরই সাফ জানিয়ে দেন, 'ডাক্তারদের ওপিডি ও আইপিডি সার্ভিসে যোগ দিতেই হবে'।