সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মহামিছিল শেষে আরও একবার স্বাস্থ্যসচিবের অপসারণের দাবি আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তারদের। এখনই কর্মবিরতি প্রত্যাহারের যে কোনও পরিকল্পনা নেই তাঁদের, তা-ও স্পষ্ট করেন তাঁরা। প্রয়োজনে দিল্লি যাওয়ারও হুঁশিয়ারি আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসক দেবাশিস হালদারের।
মঙ্গলবার থেকে রাত দখল, মহালয়ায় ভোর দখলের পর রাজপথে মহামিছিলে করেন জুনিয়র ডাক্তাররা। বুধবার কলেজ স্কোয়ার থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত মিছিল করেন তাঁরা। মিছিলে অংশ নেন সোহিনী, ঊষসীর মতো টলিউড তারকারাও। সকলেরই দাবি, সুবিচার। মিছিল শেষে মহামিছিলের মঞ্চ থেকে জুনিয়র চিকিৎসক দেবাশিস হালদার বলেন, “জুনিয়র ডাক্তারদের দমিয়ে রাখা যাবে না। সুপ্রিম কোর্ট যেন মনে রাখে জুনিয়র ডাক্তারদের দমিয়ে রাখা যাবে না। আন্দোলন না চালালে সেটিং হয়ে যেত। প্রয়োজনে দিল্লি যাব। অমীমাংসিত সমস্ত নারী নির্যাতনের মামলা নিয়ে লড়াই করব।” অভিনেত্রী সোহিনী সরকার আরও একবার রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে সুর চড়ান। তিনি বলেন, “এই আন্দোলন সরকারি সিলেবাসের বাইরে। রেফারেন্স হিসাবে থেকে যাবে এই আন্দোলন।” মিছিলে অংশ নিয়ে অভিনেত্রী ঊষসী চক্রবর্তী বলেন, “মহালয়া মানে অসুর নিধন, অশুভ শক্তির বিনাশ। সমাজে যে সব জ্যান্ত অসুর রয়েছে, যারা আমাদের চারপাশে ঘুরে বেড়াচ্ছে, তাদের শাস্তির দাবিতেই আজকের এই মিছিল। যত দিন না তাদের বিনাশ হচ্ছে, গ্রাম-শহর সর্বত্র উৎসব আর প্রতিবাদ হাতে হাত মিলিয়ে চলবে।”
উল্লেখ্য, গত ৮ আগস্ট, নাইট শিফট ছিল তরুণী চিকিৎসকের। পরদিনই আর জি করের সেমিনার হল থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। অভিযোগ, ধর্ষণ ও খুন করা হয়েছে তাঁকে। এই ঘটনায় সুবিচারের দাবিতে সরব জুনিয়র চিকিৎসকরা। পথে নেমে আন্দোলনে শামিল তাঁরা। প্রথম দফায় মুখ্যমন্ত্রী এবং মুখ্যসচিবের সঙ্গে দুদফায় বৈঠকের পর ৪১ দিনের মাথায় গত ১৯ সেপ্টেম্বর কর্মবিরতি প্রত্যাহার করেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। গত ২১ সেপ্টেম্বর থেকে জরুরি বিভাগে কাজ শুরু করেন তাঁরা। তবে সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে তাণ্ডবের ঘটনার পর থেকে ফের কর্মবিরতির হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। গত ৩০ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্টের শুনানির পর দীর্ঘ জিবি মিটিংয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এবার ১০ দফা দাবিতে কর্মবিরতি চালিয়ে যাচ্ছেন আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসকরা।