• পাচারের আগে সীমান্ত থেকে উদ্ধার আলপাকা
    এই সময় | ০৩ অক্টোবর ২০২৪
  • এই সময়, কৃষ্ণনগর: সোনার বিস্কুট বা সোনার বার নয়, মাদকদ্রব্য বা নগদ অর্থও নয়। নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জ থানার বানপুরে ভারত-বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সীমান্তে চোরাচালানকারীদের হাত থেকে এ বার উদ্ধার হলো দক্ষিণ আমেরিকার প্রাণী আলপাকা।বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে কাঁটাতার টপকে ভারতীয় সীমানায় থাকা পাচারকারীদের হাতে আসার আগেই কর্তব্যরত বিএসএফ জওয়ানদের তৎপরতায় উদ্ধার করা হয় প্রাণীটিকে। বুধবার প্রাণীটিকে বন দপ্তরের কৃষ্ণনগরের রেঞ্জ অফিসের কর্মীদের হাতে তুলে দিয়েছেন বিএসএফ জওয়ানরা। বিএসএফ আধিকারিকরা মনে করছেন, পেরুর এই প্রাণীটির দেহের লোম থেকে প্রাপ্ত দামি উলের লোভেই এটা পাচার করা হচ্ছিল।

    বিএসএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, উদ্ধার হওয়া এই আলপাকা প্রাণীটির গায়ের রং গাঢ় বাদামি। বানপুর সীমান্তে ৩২ ব্যাটেলিয়ানের জওয়ানরা দ্বিতীয় শিফটের ডিউটি করার সময় টের পান কাঁটাতারের ওপার থেকে তিন বাংলাদেশি বাঁশের মই লাগিয়ে কিছু একটা ঠেলে ফেলার চেষ্টা করছে এ পারে। ভারতীয় সীমান্তে চার দুষ্কৃতীকেও জড়ো হতে দেখেন তাঁরা।

    শূন্যে গুলি চালিয়ে বিএসএফ কর্মীরা এগোলে বাংলাদেশি দুষ্কৃতীরা প্রাণীটিকে ফেলে পালায়। আমবাগানের আড়ালে লুকিয়ে শেষপর্যন্ত চম্পট দেয় এ পারের দুষ্কৃতীরাও। বিএসএফ জওয়ানরা উদ্ধার করেন প্রাণীটিকে। তখন অবশ্য প্রাণীটি ঠিক কোন দেশের, কী নাম — কিছুই জানতে পারেননি তাঁরা।

    বিএসএফের দক্ষিণবঙ্গের এক পদস্থ কর্তা বলেন, ‘মূলত পেরুর আন্দিজ অঞ্চলের প্রাণী এটি। হিমালয়ের কিছু অংশ ছাড়া ভারতে এটি খুবই কম দেখা যায়। এর দেহের লোম থেকে লাক্সারি উল মেলে।’ ভারত-বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক সীমান্তে এ ধরনের প্রাণী পাচার তাঁদের কাছে নতুন বিষয়ও।

    বন দপ্তরের কৃষ্ণনগর অফিসের রেঞ্জার দেবাশিস বিশ্বাস বলেন, ‘উদ্ধার হওয়া প্রাণীটিকে আমাদের হাতে দেওয়া হয়েছে। আপাতত বেথুয়াডহরির অভয়ারণ্যে রাখার ব্যবস্থা হচ্ছে। তবে প্রাণীটিকে কী ভাবে যত্নে রাখা যাবে, আমাদের কিছুই জানা ছিল না। ইন্টারনেট সার্চ করে এবং দপ্তরের উচ্চপদস্থ আধিকারিক ও সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে যোগাযোগ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করা হচ্ছে।’
  • Link to this news (এই সময়)