• মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে কেতুগ্রামে বন্যা পরিস্থিতি দেখলেন স্বপন
    বর্তমান | ০৩ অক্টোবর ২০২৪
  • সংবাদদাতা, কাটোয়া: মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে বুধবার কেতুগ্রাম বিধানসভা এলাকার বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শন করলেন মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ। তিনি কেতুগ্রামের বিধায়ক, কেতুগ্রাম ১ ও ২ ব্লকের বিডিও ও অন্যান্য জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠকও করেন। স্বপন দেবনাথ বলেন, আমি মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে বৈঠক করেছি। সব রিপোর্ট তাঁর হাতে তুলে দেব। ত্রাণও পাঠিয়ে দেব। 


    কেতুগ্রাম ১ ব্লক অফিসের একটি সভাকক্ষে বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠকে কেতুগ্রাম ১ ও ২ ব্লকের ক্ষয়ক্ষতির রিপোর্ট তুলে ধরা হয়। কেতুগ্রামের বিধায়ক শেখ শাহনেওয়াজ আগেই ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে সেচমন্ত্রী মানস ভুঁইয়াকে একটি রিপোর্ট পাঠান। এদিন সেসব রিপোর্ট স্বপন দেবনাথকেও দেওয়া হয়। উপস্থিত ছিলেন কেতুগ্রাম ১  বিডিও অনিরুদ্ধ বন্দ্যোপাধ্যায় ও কেতুগ্রাম ২ বিডিও শ্বাশতি দাস।


    জানা গিয়েছে, কেতুগ্রাম ১ ও ২ ব্লকে ৪ হাজার করে মোট ৮ হাজার হেক্টর কৃষিজমির ক্ষতি হয়েছে। কেতুগ্রাম ১ ব্লকের ২১টি মৌজা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রায় ১০ থেকে ১২ হাজার কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। কেতুগ্রাম ২ ব্লকেও ৫৬টি মৌজার কৃষিজমি জলমগ্ন হয়েছে। এখানেও ১০ হাজার কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত। এছাড়া কেতুগ্রাম ১ ব্লকে আনখোনা অঞ্চলের সুবিপুর থেকে মাঝিনা ভায়া চাকটা পর্যন্ত ৪ কিমি দীর্ঘ প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনায় তৈরি রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। চেঁচুড়ি থেকে আনখোনক পথশ্রী প্রকল্পে নির্মিত ২ কিমি রাস্তার ক্ষতি হয়েছে। পাণ্ডুগ্রাম অঞ্চলের খাটুন্দি দাসপাড়া থেকে খাটুন্দি সেতু ও হাটপাড়া যাওয়ার দু’টি রাস্তা খারাপ হয়েছে। পাণ্ডুগ্রাম হাসপাতাল থেকে তিন কিমি রাস্তা জল জমে বেহাল। তাছাড়া চাকটাতে কুয়ে নদীর উপর যাতায়াতের জন্য একটি সেতু দরকার। সে থকাও রিপপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে। আনখোনা ফুঁটিসাঁকো মোড় থেকে নিকাশি নালার প্রয়োজনীয়তার কথা বলা হয়েছে। আনখোনা দিঘিরপাড়ে একটি কালভার্ট দরকার। কুচুটিয়া ও নবস্থা গ্রামে পুকুর পাড়ে গার্ডওয়ালের দাবি জানানো হয়েছে। তাছাড়া কেতুগ্রাম ১ ব্লকের নপাড়া থেকে চাকদা পর্যন্ত অজয়ের বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। চাকদা থেকে নারেঙ্গার কাছেও বাঁধে ক্ষতি হয়েছে। কেতুগ্রাম ২ ব্লকে ভাগীরথীর পাড় বরাবর রাস্তার মাটি ধসেছে। তার সংস্কার প্রয়োজন। শাঁখাই কায়স্থপাড়া, নৈহাটি প্রাথমিক স্কুল, দত্তবাটি প্রাথমিক স্কুলের কাছে ভাগীরথী পাড়ে মাটি ধসছে। এছাড়া অজয় তীরবর্তী শুনিয়া গ্রামেও ভাঙন হয়েছে। কেতুগ্রাম ২ ব্লকের উদ্ধারণপুর থেকে শাঁখাই চার কিমি রাস্তার ক্ষতি হয়েছে। শিবলুন হল্ট থেকে গঙ্গাটিকুরি ব্লক অফিসের সামনের রাস্তা ভায়া অম্বলগ্রাম ৫ কিমি রাস্তা ক্ষতি হয়েছে। উদ্ধারণপুর থেকে মৌগ্রাম রাস্তাও ভেঙেছে জলের জন্য। বেলুটিয়া থেকে কেঁওগুঁড়িভ ভায়া বহরান ৯ কিমি রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অম্বলগ্রামের প্রাথমিক স্কুলের মূল ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বৃষ্টিতে। কাঁকুড়হাটি প্রাথমিক স্কুলের শ্রেণিকক্ষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। করোলা গ্রামের প্রাথমিক স্কুলের সীমানা প্রাচীর পড়ে গিয়েছে। গঙ্গাটিকুরি থেকে সীতাহাটি ভায়া নবগ্রাম, বিল্লেশ্বর এলাকায় কাঁদর সংস্কারের কথাও জানানো হয়েছে। তাছায়ারা রসুই, তেওড়া অজয়ের বাঁধে ফাটল দেখা দিয়েছে। ১৪ থেকে ২১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রাণিসম্পদ বিকাশ দপ্তর থেকে বন্যা পরিস্থিতির জন্য ৬টি শিবির করা হয়েছে। সবই মন্ত্রীকে রিপোর্ট দেওয়া হয়।
  • Link to this news (বর্তমান)