• নগর সভ্যতায় হারিয়ে যাচ্ছে পাখি, গাছে বাসা বানিয়ে দিচ্ছে মালদহ কলেজ
    বর্তমান | ০৩ অক্টোবর ২০২৪
  • সংবাদদাতা, বোলপুর: বাঁশ, কাগজ ও শোলা দিয়ে অভিনব দুর্গা প্রতিমা বানিয়ে চমক দিলেন বিশ্বভারতীর শিল্প সদনের অধ্যাপক শিল্পী আশিস ঘোষ। শিল্পকেন্দ্রিক অধ্যাপনার কাজে জড়িয়ে থাকার কারণে সারা বছরই তিনি নানা ধরনের কাজ করেন। ছাত্র-ছাত্রীদের শেখানোর পাশাপাশি নিজের স্টুডিওয় খুব সাধারণ সামগ্রী দিয়ে অসাধারণ শিল্পকর্ম সৃষ্টির সঙ্গে তিনি দীর্ঘদিন জড়িয়ে রয়েছেন। ছাত্র-ছাত্রীদের পুঁথিগত শিক্ষার পাশাপাশি সর্বাঙ্গীণ শিক্ষায় শিক্ষিত করতে চেয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথ। সেই ভাবনাকেই কার্যত নিজের জীবন দর্শন করে নিয়েছেন আশিসবাবু। তাই ছাত্র-ছাত্রীদের সঙ্গে এবছর দুর্গাপুজোর আগে মা দুর্গার বিভিন্ন মুখাবয়ব বানানোর পাশাপাশি তৈরি করে ফেললেন আস্ত এক প্রতিমা। মূর্তির কাজ সম্পূর্ণ হওয়ার পর তিনি সেই শিল্পকর্ম সোশ্যাল মিডিয়ায় তুলে ধরেন। আর তা জানাজানি হতেই তাঁর স্টুডিওয় ভিড় জমান অনেকে। 


    শিল্প-সংস্কৃতির পীঠস্থান হিসেবে সবার আগে কবিগুরুর ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিশ্বভারতীর নাম সামনে আসে। শান্তিনিকেতনজুড়ে শিল্পের নানা নমুনা রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবন, শিল্প সদনের শিল্পী ও অধ্যাপকদের কাজের গুণে বিশ্বভারতীর খ্যাতি দেশ-বিদেশের নানা প্রান্তে ছড়িয়ে পড়েছে। বিভিন্ন শিল্পকর্মের সঙ্গে বছরভর যুক্ত থাকেন বিশ্বভারতীর প্রাক্তন ছাত্র তথা শিল্প সদনের অধ্যাপক আশিসবাবু। এর আগেও তিনি দেশ-বিদেশের নানা প্রান্তে সৃষ্টিশীল কাজ করেছেন। এর জন্য আন্তর্জাতিক স্তরে স্বীকৃতি ও পুরস্কারও পেয়েছেন। প্রতিবছরই দুর্গাপুজোর আগে বিভিন্ন ধরনের দুর্গামূর্তি তৈরি করেন। এর জন্য লোহা, পিতল, কাঁসা, অ্যালুমিনিয়াম প্রভৃতি ধাতু ব্যবহৃত হয়। এমনকী, সাধারণ জীবনে ব্যবহৃত কড়াই, খুন্তি, মাটির হাঁড়ি, কলসি সহ বিভিন্ন ধরনের পাত্র নিজের শিল্পকর্মে প্রয়োগ করেন। ফলে নতুন ধরনের শিল্পকর্মের সৃষ্টি হয়। এবছর দুর্গামূর্তিটি তিনি  শিলিগুড়ির ভালু বাঁশ, কাগজ ও শোলা দিয়ে তৈরি করেছেন। ছ’ফুট উচ্চতার এই দেবী প্রতিমাটি বোলপুরের একটি আবাসনে পুজো করা হবে বলে তিনি জানিয়েছেন। আশিসবাবু বলেন, এটি অল্প বাজেটের কাজ। শিশুরা যে পুতুল নিয়ে খেলতে ভালোবাসে সেই বিষয়কে মাথায় রেখেই দুর্গামূর্তিটি পুতুলসুলভ করা হয়েছে। এই কাজে গোয়ালপাড়া সহ বোলপুরের নানা প্রান্তের শিল্পীরা হাত লাগিয়েছেন। ‌ সাধারণ বিষয়কে অসাধারণ করে তোলায় রবীন্দ্রনাথের ভাবনা ছিল। তাতে অনুপ্রাণিত হয়েই এই ধরনের শিল্পকর্ম করতে ভালো লাগে। মানুষের যদি এই কাজ ভালো লাগে সেটাই আমার প্রাপ্তি।
  • Link to this news (বর্তমান)