• চূর্ণীর জলস্তর বাড়ায় শিবনিবাস ঘাটে যাওয়ার ফেরি চলাচল বন্ধ
    বর্তমান | ০৩ অক্টোবর ২০২৪
  • সংবাদদাতা, কৃষ্ণনগর: নদীর জলস্তর বেড়ে যাওয়ায় চূর্ণী নদীর শিবনিবাস ঘাটের উপর বন্ধ হল নৌকা চলাচল। আর তাতে ব্যাপক সমস্যায় পড়েছেন সাধারণ মানুষ। প্রসঙ্গত একটানা বৃষ্টিতে জলের তোড়ে কৃষ্ণগঞ্জের শিবনিবাস ফেরিঘাটের অস্থায়ী বাসের সাঁকো ভেঙে যায়। বাঁশের সাঁকো ভেঙে যাওয়ায় বন্ধ হয়ে যায় যাত্রী পারাপার। চূর্ণীর জলস্তর বেড়ে যাওয়ায় নদীর উপর শিবনিবাসের অস্থায়ী বাঁশের সেতুও খুলে ফেলতে হয়। সমস্যায় পড়ে যায় এই সাঁকো দিয়ে যাতায়াত করা কয়েক হাজার পুণ্যার্থী থেকে যাত্রীরা। শিবনিবাসে রয়েছে এশিয়ার মধ্যে দ্বিতীয় বৃহত্তম শিবলিঙ্গ। তাই প্রতিদিন এই অস্থায়ী সেতুর মাধ্যমে ঘাট পেরিয়ে পুণ্যার্থীরা যাতায়াত করেন, মন্দিরে পুজো দেন। এছাড়াও শিবনিবাস, পাবাখালি, কৃষ্ণপুর, মধুপুর, খাটুরা বিভিন্ন জায়গা থেকে এই পথ দিয়ে যাতায়াত করেন বহু মানুষ। যাতায়াত করে মাজদিয়া বাজারে সব্জি নিয়ে যাওয়া চাষিরা। এই অবস্থায় অস্থায়ী সেতু দিয়ে ভোরে নদীতে মাছ ধরতে যাওয়া মৎস্যজীবী থেকে প্রত্যেকেই সমস্যায় পড়ে যান।  সমস্যায় পড়ে যান দুপারের পুণ্যার্থী সহ কয়েক হাজার মানুষ। একইসঙ্গে রাত বিরেতে রোগী থেকে প্রসূতি মহিলাদের হাসপাতালে যাওয়ার ক্ষেত্রেও বিড়ম্বনা দেখা দেয়। এই অবস্থায় চূর্ণী নদীর বক্ষে শিবনিবাস ঘাটে নৌকা চালু করা হয়। এই নৌকা দিয়ে যাতায়াত করছিলেন পুণ্যার্থী থেকে দু’পারের মানুষজন। কিন্ত চূর্ণী নদীর জলস্তর ক্রমশ বাড়ছে। কয়েকদিন আগে ছিল চূর্ণী নদীর জলস্তর ছিল ৬.৬২ মিটার। এই অবস্থায় নদীতে নৌকা চালানো বিপজ্জনক। তাই নদীবক্ষে নৌকা চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে, জানিয়েছেন ফেরিঘাটের মালিক মধু সিংহ। এ প্রসঙ্গে তিনি  বলেন, ‘আমরা চূর্ণী নদীতে জল বেড়ে যাওয়া দেখে বাঁশের সাঁকো খুলে দিয়েছি। আবার জল কমলে বাঁশের সেতু করা হবে। আমাদের লোকজন দিয়ে চালু করেছিলাম নৌকা পরিষেবা। জল বেড়ে যাওয়ায় বিপদ এড়াতে নৌকা চালানো বন্ধ করা হয়েছে।’ তাই  বেশি টাকা খরচ করে আড়াই থেকে তিন কিমি রাস্তা পেরিয়ে ক্রংকিটের সেতুর উপর দিয়ে প্রত্যেককে যাতায়াত করতে হচ্ছে। এ নিয়ে কৃষ্ণগঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি অনুপ দাস বলেন, ‘নদীর জল বাড়ার জন্য নৌকা চালানো আজ থেকে বন্ধ করা হয়েছে। ফেরিঘাটের তরফ থেকে জানানো হয়েছে ঘাটপারের কিছু পরিকাঠামো তৈরির কথা। আমরা তা করে দেব। দ্রুত এখানে যাতাযাত ব্যবস্থা গড়ে তোলা হবে।’
  • Link to this news (বর্তমান)