সিতাই বিধানসভা উপনির্বাচনই শেষ সুযোগ, বুথে ভোটের ফলে হারলে খোয়াতে হবে পদ
বর্তমান | ০৩ অক্টোবর ২০২৪
সংবাদদাতা, দিনহাটা: এবারের উপ নির্বাচন শেষ সুযোগ। ভোটের ফলে নিজের বুথে হারলে পদ যাবে নেতার। নির্বাচনের ফল বের হওয়ার পরেই নেতাদের বুথের ফলাফল বিশ্লেষণ করা হবে। তারপরেই কড়া ব্যবস্থা নেবে দল। সিতাইয়ের কর্মিসভায় এভাবেই নেতাদের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন কোচবিহারের সাংসদ জগদীশচন্দ্র বর্মা বসুনিয়া। এমপি’র হুঁশিয়ারিতে শোরগোল পড়েছে। বিধানসভা উপ নির্বাচনে নিজের বুথে জিততে মরিয়া হয়ে পড়েছেন নেতারা। একাধিক গ্রাম পঞ্চায়েতে অঞ্চল সভাপতি ও প্রধানের বুথে এবারে তৃণমূল কংগ্রেস লোকসভা নির্বাচনে পিছিয়ে ছিল। তাঁদেরকেই সতর্ক করেছেন সাংসদ, ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের।
কোচবিহারের তৃণমূল সাংসদ বলেন, অনেকেই এলাকায় নেতাগিরি করে বেড়ান। কিন্তু, ভোট এলে দেখা যায় নিজের বুথেই পরাজিত হয়েছেন সেই নেতা। নিজের এলাকার লোক যাঁদের চান না, তাঁদের আর পদে রাখা হবে না। এবারের উপ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী যেসব নেতার বুথে পরাজিত হবেন, ভোটের পরে সেই নেতাদের সরানো হবে।
চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনে উত্তরবঙ্গে একমাত্র কোচবিহার আসনে জয়ী হয় তৃণমূল। সিতাই বিধানসভায় সবচেয়ে বেশি ভোটে এগিয়েছিল তারা। জগদীশবাবু এই বিধানসভারই বিধায়ক ছিলেন। ভোটে জেতার পরে ইস্তফা দিয়েছেন তিনি। সেই আসনে উপ নির্বাচন আসন্ন।
লোকসভায় দল জিতলেও অনেক জায়গায় পিছিয়ে ছিলেন প্রার্থী। অনেক নেতার বুথেই পরাজিত হয়েছে শাসকদল। নির্বাচনে হেরেও নেতাগিরি করছেন তাঁরা। এবারের উপ নির্বাচনে শেষ সুযোগ দিতে চাইছে তৃণমূল সেই নেতাদের। প্রকাশ্য কর্মিসভায় নাম না করে সেইসব নেতাদের সতর্ক করেছেন এমপি। দলীয় সূত্রে খবর, আঁটিয়াবাড়ি, বড় শৌলমারি, গোসানিমারি সহ একাধিক জায়গায় অঞ্চল সভাপতির বুথেই দলীয় প্রার্থী পিছিয়ে ছিলেন। কয়েকটি প্রধানের বুথে লিড দিতে পারেনি রাজ্যের শাসকদল। সেই বুথগুলিতে এবারে জয়ের লক্ষ্য নিয়েছে তারা। হারা বুথে জয়ে ফেরা লক্ষ্য তৃণমূলের। বুথে হারা নেতাদের ঘুরে দাঁড়ানোর জন্যই এমন হুঁশিয়ারি। এরপরেও উপ নির্বাচনে জয় না পেলে ওই নেতাদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিতে পিছপা হবে না দল, এমনটাই জানিয়ে দিয়েছেন সাংসদ।