• গোলকগঞ্জ বাজার ব্যবসায়ী সমিতির দুর্গাপুজোয় দেখা মিলবে রাজ্য সরকারের সামাজিক প্রকল্পের
    বর্তমান | ০৩ অক্টোবর ২০২৪
  • সন্দীপ বর্মন, মাথাভাঙা: এবারে ৫০ তম বছরে পদার্পণ করল গোলকগঞ্জ বাজার ব্যবসায়ী সমিতির দুর্গাপুজো। স্থায়ী মন্দিরে মায়ের আরাধনা হলেও, পুজোকে ঘিরে ব্যবসায়ী ও বাসিন্দাদের মধ্যে উৎসাহের খামতি নেই। শুধু পুজো নয়, রাজ্য সরকারের একাধিক সামাজিক প্রকল্প তুলে ধরে ‘লীলা প্রদর্শনী’ করা হবে বাজারের মাঠে। ইতিমধ্যে প্রদর্শনীর জন্য বিশাল মাঠজুড়ে মণ্ডপ তৈরির কাজ চলছে জোরকদমে। কমিটির সদস্যরা জানান, নিয়মনিষ্ঠা সহকারে পুজো করা হয়। পুজোর দিনগুলিতে বেশকিছু সামাজিক কর্মসূচিও নিয়েছেন ব্যবসায়ী সমিতির সদস্যরা। প্রতিমা দেখতে প্রচুর মানুষ ভিড় করে মন্দির প্রাঙ্গণে। নবমীতে করা হয় প্রসাদ বিতরণ। দশমীতে মেলা বসে পুজোকে ঘিরে। 


    ৫০ বছর আগে স্থানীয় বাসিন্দা তিলকচাঁদ বর্মন বাজার বসানোর জন্য ছয় বিঘা জমি দান করেছিলেন। তাঁর বাবার নাম গোলকচাঁদ বর্মন। গোলকচাঁদ বর্মনের নামেই বাজারের নামকরণ হয়। তিলকচাঁদ সহ বাজার এলাকার ব্যবসায়ীরা মিলে শুরু করেছিলেন এই দুর্গাপুজো। তারপর থেকেই ধারাবাহিকভাবে নিয়মনিষ্ঠার সঙ্গে পুজো সম্পন্ন হয়ে থাকে। বর্তমানে গোলকগঞ্জ বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক কেশবচন্দ্র বর্মন, সভাপতি অরুণ সরকার এবং কোষাধ্যক্ষ উদয় সাহা। এবছরের পুজো কমিটির সভাপতি কর্ণেশ্বর বর্মন, সম্পাদক বিকাশ সরকার এবং কোষাধ্যক্ষ হরিদাস সরকার।


    ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক কেশবচন্দ্র বর্মন বলেন, শুরু থেকে আজ পর্যন্ত আমরা নিয়মনিষ্ঠাভাবে পুজোর আয়োজন করে আসছি। স্থায়ী মন্দির থাকায় প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হয় না। সারাবছর নিত্যপুজো করা হয়। এবার রাজ্য সরকারের কন্যাশ্রী, রুপশ্রী, কৃষকবন্ধু সহ একাধিক প্রকল্প তুলে ধরে লীলা প্রদর্শনী করা হবে। পুজো উপলক্ষ্যে দুঃস্থদের বস্ত্রদান, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। একদিন যাত্রাগানও হবে। নবমীতে দিনভর প্রসাদ বিতরণ করা হবে। সামাজিক সচেতনতামূলক বার্তা তুলে ধরি আমরা। 


    পুজো কমিটির সভাপতি বলেন, এবছর স্থানীয় মৃৎশিল্পীর তৈরি প্রতিমা এবং স্থানীয় ডেকরেটর কর্মীদের মণ্ডপ ও আলোকসজ্জা নজর কাড়বে। প্রতিবছর আমাদের মন্দিরে ব্যাপক ভিড় হয়। এবছরও ভিড় সামাল দিতে কমিটির সদস্যরা থাকবেন। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে বাজার এলাকায় নজরদারিও চালানো হবে।
  • Link to this news (বর্তমান)