আর জি করে কর্তব্যরত মহিলা চিকিৎসককে খুনের হুমকি, ধৃত ইঞ্জিনিয়ার
বর্তমান | ০৩ অক্টোবর ২০২৪
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: আর জি করে কর্তব্যরত মহিলা চিকিৎসককে খুনের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠল রোগী ও তাঁর সঙ্গীদের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, ঘটনাস্থলে উপস্থিত অন্য চিকিৎসকদেরও হুমকি দেওয়া হয়। মঙ্গলবার রাত দুটো নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে। চিকিৎসকদের অভিযোগের ভিত্তিতে রোগীর বন্ধু পরিচয় দেওয়া সত্যরঞ্জন মহাপাত্র নামে এক সফ্টওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারকে গ্রেপ্তার করেছে টালা থানা। তাঁর বিরুদ্ধে সরকারি কর্মীদের ভয় দেখানো, হুমকি সহ একাধিক ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। ঘটনায় জড়িত আরও দুই অভিযুক্তের খোঁজ চলছে। মঙ্গলবারের ঘটনা আর জি কর সহ বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসকদের নিরাপত্তা নিয়ে আরও একবার প্রশ্ন তুলে দিল। প্রশ্নের মুখে দাঁড়িয়েছে মহিলা ডাক্তারদের সুরক্ষাও।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ওড়িশার বাসিন্দা সত্যরঞ্জন কয়েকদিন আগে কলকাতায় আসেন। দমদম এলাকায় শিখর নামে এক বন্ধুর বাড়িতে ওঠেন। মঙ্গলবার তাঁরা বাইক নিয়ে পার্টি করতে বেরিয়ে ছিলেন। অভিযোগ, নেশাগ্রস্ত অবস্থায় বাইক চালাতে গিয়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়েন শিখর। কোমর, পা সহ বিভিন্ন জায়গায় আঘাত লাগে তাঁর। ওই অবস্থায় সত্যরঞ্জন ও তাঁদের সঙ্গে আরও দুই যুবক শিখরকে আর জি করে নিয়ে আসেন চিকিৎসার জন্য। ট্রমা কেয়ারে ঢোকানোর পর কর্তব্যরত মহিলা ডাক্তার তাঁকে দেখতে আসেন। ইনঞ্জেকশন দেওয়ার জন্য চ্যানেল করতে গেল তাঁর হাত থেকে রক্ত বেরতে শুরু করে। অভিযোগ, সেখানে থাকা মহিলা চিকিৎসককে শিখর প্রথমে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। তারপর তাঁকে খুনের হুমকি দেন। রোগীর সঙ্গে আসা সত্যরঞ্জন ও বাকিরা ঝামেলা জুড়ে দেন ওই মহিলা চিকিৎসকের সঙ্গে। অভিযোগ, তাঁরাও চিকিৎসককে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেন। ট্রমা কেয়ারের ভিতরে চিৎকার শুরু করে দেন তাঁরা। মহিলা ডাক্তারকে বাঁচাতে এগিয়ে আসেন অন্য চিকিৎসকরা। তাঁদেরও হেনস্তা করা হয় বলে অভিযোগ। এরমধ্যেই শিখরকে সেখান থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে অন্য হাসপাতালে চলে যায় তাঁর দুই বন্ধু। হাসপাতালে থেকে যায় সত্যরঞ্জন। ডাক্তারদের তরফে হাসপাতালে থাকা পুলিস ফাঁড়িতে খবর দেওয়া হয়। সঙ্গে সঙ্গেই পুলিস আসে। টালা থানার অফিসাররাও পৌঁছে যান। চিকিৎসকদের অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ভয় দেখানো, হুমকি সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করে গ্রেপ্তার করা হয় সত্যরঞ্জনকে।